সৌভিক মুখার্জী, কলকাতাঃ যান চলাচলে বড়সড় পরিবর্তন আসতে চলেছে পূর্ব মেদিনীপুরের ব্যস্ততম রাজ্য সড়কে। আজ অর্থাৎ, ১৭ই মার্চ থেকে আগামী ২০ই মার্চ রাত ৯টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়কের (Haldia-Mecheda Road) নন্দকুমার রেলগেটের লেভেল ক্রসিং দিয়ে যানবাহন চলা সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। হ্যাঁ একদম ঠিকই শুনেছেন।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে। কারণ হিসেবে রেল জানাচ্ছে, ওই সময় রেলগেট মেরামতের কাজ চলবে। ফলে স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে দীঘা হলদিয়া যাতায়াতকারী হাজার হাজার যাত্রী সমস্যার মুখোমুখি পড়তে পারেন।
কেন বন্ধ থাকবে যান চলাচল?
হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়ক পূর্ব মেদিনীপুর রাজ্যের অন্যতম একটি ব্যস্ত রাস্তা। এর উপরেই রয়েছে তমলুক-দীঘা রেলপথের মূল লেভেল ক্রসিং। নন্দকুমার রেলগেটে জরুরী সংস্কারের কারণে ৪ দিন এই রাস্তা দিয়ে কোনরকম যানবাহন চলাচল করতে পারবে না, এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে। রেল সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই কাজ ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে শেষ করার চেষ্টা করা হবে। তবে যদি কোনো কারণে কাজ দেরি হয়, তাহলে ২০ই মার্চ পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ থাকবে।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
কারা সমস্যায় পড়বেন?
এই ব্যস্ততম সড়ক বন্ধ হওয়ার ফলে প্রতিদিন অফিস, স্কুল, কলেজ বা বাজারে যাতায়াতকারীরা সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। এছাড়া পর্যটকরা যারা দীঘা, মন্দারমণি ও তাজপুরে বেড়াতে যাচ্ছে তাদের জন্য এটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। পাশাপাশি হলদিয়া শিল্পাঞ্চলের দিক থেকে আসা পণ্যবাহী যানবাহনগুলির জন্য এটি একটি বড় ধাক্কা।
বিকল্প পথ
পূর্ব মেদিনীপুর প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছু বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাতে যাত্রীরা দুর্ভোগের শিকার না হন। প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যদি হলদিয়া যেতে হয় তাহলে ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরেই যাওয়া যাবে। যদি দীঘা থেকে ফিরতে হয়, তাহলে তমলুকের নারায়ণপুর রাস্তা ধরে রূপনারায়ণন পাড়ের রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা যাবে। তবে এক্ষেত্রে বলে রাখি, যাত্রীদের উচিত আগেভাগে এই বিষয়টি জেনে প্রস্তুতি নিয়ে বের হওয়া। কারণ রাস্তা ঘুরে যেতে বেশি সময় লাগতে পারে।
উৎসবের পরেই দুর্ভোগ
রঙের উৎসব সবেমাত্র শেষ হয়েছে। এই সময় দীঘা, হলদিয়া, মন্দারমনি ইত্যাদি জায়গায় পর্যটকদের আনাগোনা বেশি থাকবে। যান চলাচল বন্ধ হওয়ায় তারা সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। বিশেষ করে যারা রাতে যাতায়াত করেন, তাদের জন্য এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।