প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: এবার হুগলি নদীর মধ্যে দেখা মিলল বুল শার্ক। ভাবছেন নিশ্চয়ই পুরোটাই গুজব বা গল্প? কিন্তু না আদতে এটাই সত্যি। গভীর সমুদ্র ছেড়ে এবার কলকাতার হুগলি নদীতে দেখা দিল হাঙরের এই প্রজাতিকে (Bull Shark)। যা নিয়ে রীতিমত আঁতকে উঠেছে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পরিবেশ বিজ্ঞানীরা। প্রশ্ন উঠছে তবে কি পরিবেশের দীর্ঘমেয়াদি দূষণের কারণেই এই অসম্ভব কাণ্ডটি ঘটতে চলেছে।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
ঘটনাটি কী?
জানা গিয়েছে গত রবিবার, ব্যান্ডেলের কাছে হুগলি নদীতে চাঁদনী ঘাটে ধরা পড়ল একটি বুল শার্ক। সকলের দিকে ওই চত্বর দিয়ে নৌকো করে প্রায় যাত্রী পারাপার করানো হয়। এদিনও সেই সময় যাত্রী নিয়ে পারাপার করছিল ৮ টি নৌকো। তার উপর জেলেরা সকালের দিকে অন্তত ১২ টা মাছধরা নৌকো থেকে ১৬টা জাল পড়েছিল নদীতে। আর তখনই ধরা পড়ে এই জল জন্তুটির। এই হাঙর মাছটিকে দেখে বেশ শক্তপোক্ত লাগল, এবং নাকটা হালকা উঁচু। পিঠের উপরের পাখনাটা বেশ বড়।
হাঙরের শারীরিক গঠন
এছাড়াও উদ্ধার হওয়া এই হাঙর মাছের পেটটা সাদা, তবে পিঠের রং ধূসর। তবে এই হাঙরটি পুরুষ না স্ত্রী, সেটা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। এদিকে প্রাণিবজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, পুরুষের তুলনায় বুল শার্কের স্ত্রী প্রজাতি আকারে কিছুটা বড় হয়ে থাকে। পূর্ণবয়স্ক একটি স্ত্রী হাঙরের দৈর্ঘ্য প্রায় ৮ ফুট পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু এর দৈর্ঘ্য সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি। জনবসতিপূর্ণ এলাকায় এই ধরনের হাঙর ধরা পড়ায় রীতিমত চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আসলে যে জায়গায় ওই হাঙর মাছ ধরা পড়েছে, সেখানে অনেকেই গঙ্গার ঘাটে এসে ভিড় করে থাকে।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
তবে এই ঘটনায় অনেকের মনে একটা প্রশ্ন বেশ ঘোরপাক খাচ্ছে। আগাগোড়াই হাঙর মাছ থাকে গভীর সমুদ্রে। কিন্তু সেক্ষেত্রে এই মাছ হুগলি নদীতে কীভাবে এল তাই নিয়ে চিন্তা বেড়েছে। সেক্ষেত্রে এর জবাব দিয়ে দিল মেরিন বায়োলজিস্ট। তাঁদের মতে, এই প্রজাতির হাঙর আসলে পরিযায়ী সামুদ্রিক প্রাণী। সমুদ্রের লবণাক্ত জল থেকে শুরু করে নদীর মিষ্টি জল, সব রকম জলেই ঘুরে বেড়ায়। কিন্তু তা বলে হুগলি নদীর মোহনা থেকে ১৮০ কিলোমিটার ভিতরে চলে আসবে এই হাঙর। তা নিয়ে ধন্দ কাটছে না প্রাণিবিজ্ঞানীদের। অনেকে পরিবেশের আমূল পরিবর্তন হওয়ার কারণেই দায়ী করছে।