রাজ্যের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মচারীদের জন্য আসছে বড় সুখবর। দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে এবার ১৪,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে সরকারি কর্মচারীদের জন্য, যা তাদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা এবং পেনশনভোগীদের জন্য ডিয়ারনেস রিলিফ (DR) পরিশোধে ব্যবহার করা হবে।
সরকারি কর্মচারীদের বহুদিনের দাবি ছিল তাদের বকেয়া পরিশোধ করা। অবশেষে সরকারে সেই দাবি পূরণ করতে চলেছে। ২০২৫ সালের এপ্রিল মাস থেকেই কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়া হবে এবং পর্যায়ক্রমে ২০২৮ সালের মধ্যে এই পুরো অর্থপ্রদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। এই সিদ্ধান্ত বিশেষ স্বস্তির কারণ হতে চলেছে।
বকেয়া পরিশোধ নিয়ে সরকারের ঘোষণা
সম্প্রতি মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে যে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের এপ্রিল মাস থেকে প্রতি মাসে ২০০ কোটি টাকা করে ব্যয় করা হবে, যা পর্যায়ক্রমে সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া পরিশোধের কাজে ব্যবহৃত হবে।
গত ১লা জানুয়ারি, ২০১৬ থেকে ৩০শে জুন, ২০২২ পর্যন্ত সময়কালের মধ্যে যে বকেয়া ডিএ বাকি ছিল সেই ডিএ পরিশোধ করা হবে। এই সিদ্ধান্তের ফলে সরকারি কর্মচারীরা দীর্ঘদিনের আটকে থাকা অর্থ পেতে চলেছেন। এতে তাঁদের আত্মনির্ভরতা আরো বৃদ্ধি পাবে।
কারা পেতে চলেছেন এই সুবিধা?
জানিয়ে রাখি, এই সুখবর বাংলার সরকারি কর্মীদের জন্য নয়। বরং পাঞ্জাবের ৬ লক্ষ সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের জন্য। পাঞ্জাব মন্ত্রিসভা সম্প্রতি এই সিদ্ধান্তের অনুমোদন দিয়েছে। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানের নেতৃত্বে বেতন কমিশনের প্রক্রিয়া পরিশোধের প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী হরপাল সিং চিমা জানিয়েছেন, ২০২৫ সালের এপ্রিল মাস থেকে এই অর্থ পরিশোধ করা শুরু হবে এবং ২০২৮ সালের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে। ফলে পাঞ্জাব সরকার প্রতি মাসে ২০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করবে, যা সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া পরিশোধে ব্যবহার করা হবে।
সাধারণ নাগরিকরাও উপকৃত হবেন
এই সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র সরকারি কর্মচারীদের জন্য নয়, বরং সাধারণ নাগরিকদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। পাঞ্জাব সরকার ৭০০ একর জমি বেসরকারি নির্মাতাদের কাজ করতে উদ্ধার করেছে, যা EWS কোটাদের জন্যে সংরক্ষণ করে রাখা ছিল।
সরকারের মূল পরিকল্পনা হল ৭০০ একর জমি খোলা বাজারে বিক্রি করা এবং EWS সম্প্রদায় নাগরিকদের জন্য ১৫০০ একর জমিত প্লট হিসাবে বরাদ্দ করা। সরকারের এই সিদ্ধান্ত সরকারি কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করল। আগামী মাস থেকেই রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা হাতে তাঁদের বকেয়া টাকা পাবেন, যা তাদের আর্থিক স্বস্তি এনে দেবে।