অষ্টম বেতন কমিশন (8th Pay Commission) গঠনের দিকে ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে সরকার, যা সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের বেতন কাঠামো এবং ভাতা পর্যালোচনা করবে। সরকার আগামী মাসের প্রথম দিকে শর্তাবলী (TOR) অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভার কাছে পাঠাবে বলে আশা করা হচ্ছে। মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর, একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে এবং কমিশন ২০২৫ সালের এপ্রিলে তার কাজ শুরু করবে।
৮ম বেতন কমিশন কী পর্যালোচনা করবে?
৮ম বেতন কমিশন সরকারি কর্মচারীদের বেতন ও ভাতা, সেইসাথে পেনশনভোগীদের পেনশন কাঠামো পর্যালোচনা করবে এবং পরিবর্তনের সুপারিশ করবে। কমিশন তার সুপারিশ করার সময় মুদ্রাস্ফীতি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং আর্থিক অবস্থার মতো বিষয়গুলি বিবেচনা করবে।
৮ম বেতন কমিশন থেকে কারা উপকৃত হবেন?
৮ম বেতন কমিশন বিভিন্ন ধরণের ব্যক্তিদের উপকার করবে, যার মধ্যে রয়েছে:
- ৬৫ লক্ষ পেনশনভোগী: সরকারি পেনশনভোগীরা তাদের পেনশন কাঠামোর উন্নতি দেখতে পাবেন।
- ৫০ লক্ষ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী: মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং সরকারি খাতের (PSU) কর্মচারীরা বেতন সংশোধনের সুবিধা পাবেন।
- প্রতিরক্ষা কর্মী: সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর কর্মীদের বেতন ও ভাতাও উন্নত করা হবে।
অষ্টম বেতন কমিশনের পরবর্তী পদক্ষেপ কী?
অষ্টম বেতন কমিশনের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং কর্মী ও প্রশিক্ষণ বিভাগ (DoPT) সহ বিভিন্ন সূত্র থেকে শর্তাবলী সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া পেয়েছে।
সমস্ত প্রতিক্রিয়া পাওয়ার পরে, এটি এই মাসের শেষে বা আগামী মাসের প্রথম দিকে অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভার কাছে পাঠানো হবে। অনুমোদনের পরে কমিশন ২০২৫ সালের এপ্রিলে কাজ শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে এবং এটি বেতন এবং পেনশন কাঠামো পর্যালোচনা করবে।
অষ্টম বেতন কমিশন কবে বাস্তবায়িত হবে?
সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী হলে, ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে ৮ম বেতন কমিশন বাস্তবায়ন করা হবে। পূর্ববর্তী বেতন কমিশনের মতো এই প্রক্রিয়াটি এক বছরেরও কম সময় নেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বলা বাহুল্য, সাধারণত প্রতি ১০ বছর অন্তর বেতন কমিশন গঠিত হয়। এর আগে ২০১৬ সালে বাস্তবায়িত সপ্তম বেতন কমিশনের উল্লেখযোগ্য প্রভাব ছিল, প্রথম বছরেই সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের বেতন এবং পেনশন প্রদান ১ লক্ষ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়েছিল।
উচ্চ প্রত্যাশার সাথে, ৮ম বেতন কমিশন বড় ধরনের বেতন সংস্কার আনবে বলে আশা করা হচ্ছে, যার জন্য সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনভোগীরা ২০২৬ সালে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।