স্যালাইনের পর এবার ইনজেকশন কাণ্ড! বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে হঠাৎ অসুস্থ পাঁচ প্রসূতি

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: চলতি বছর জানুয়ারি মাসের গোড়ায় স্যালাইন কাণ্ডে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে পাঁচ মহিলা প্রসূতি অসুস্থ হওয়ার ঘটনায় রীতিমত উত্তাল হয়ে উঠেছিল গোটা বাংলা। অভিযোগ উঠেছিল, স্যালাইন দেওয়ার পরেই তাঁরা নাকি অসুস্থ বোধ করেন। অসুস্থ প্রসূতিদের মধ্যে এক প্রসূতির মৃত্যুও হয়েছিল। পরে সেই একই ঘটনায় মৃত্যু হয় অন্য এক প্রসূতির সদ্যোজাত সন্তানের। রিঙ্গার্স ল্যাকটেট স্যালাইন দেওয়ার পরেই এমন কাণ্ড ঘটেছিল। আর সেই আতঙ্ক কাটতে না কাটতেই ফের আরও এক নয়া আতঙ্ক তৈরি হল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে (Burdwan Medical College)। তবে এবার স্যালাইন নয় ইনজেকশন।


গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন

Join Now

ঘটনাটি কী?

সূত্রের খবর গতকাল অর্থাৎ সোমবার রাতে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রসূতি বিভাগের বেশ কয়েক জন প্রসূতি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের মধ্যে কয়েক জনের পরিবারের দাবি, সন্তানের জন্ম দেবার পর সকলেই ভাল ছিলেন। কিন্তু গতকাল সন্ধ্যায় একসঙ্গে তিনটি ইঞ্জেকশন দেওয়ার পর থেকেই দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁরা। কাঁপুনি দিয়ে অনেকের আবার জ্বর চলে আসে। এই পরিস্থিতিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি পরিবারের সদস্যদের ডেকে পাঠালেও কাউকে রোগীর সঙ্গে দেখা করাতে দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ। এদিকে কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, অ্যালার্জির কারণে কিছু রোগীর সমস্যা দেখা দিতে পারে।

READ MORE:  অজানা ভাইরাসে মৃত্যু হাজার হাজার মুরগির, সতর্কতা জারি কেন্দ্রের, হু হু করে কমছে দাম

কী বলছেন হাসপাতালের অধ্যক্ষ?

এই প্রসঙ্গে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদ মাধ্যমগুলোকে জানিয়েছেন যে, প্রসূতিদের একটি ‘অ্যালার্জিটিক’ সমস্যা হয়েছে ইঞ্জেকশন দেবার পর। সাত জন প্রাথমিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লেও পরবর্তী সময়ে তাঁরা অনেকটা সুস্থ হয়েছেন বলে অধ্যক্ষের দাবি। এদিকে পরিবারের দাবি যাঁরা ইঞ্জেকশন দিয়েছেন, তাঁরা কেউ প্রশিক্ষিত নন। খালি পেটে পর পর তিন-চারটি ইঞ্জেকশন নেওয়ার কারণেই প্রসূতিরা অসুস্থ বোধ করছেন।


বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে

Join Now

পরিবারের দাবি

অসুস্থ প্রসূতির স্বামী, জয়দেব মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি জানান, “আমার স্ত্রী সুস্থ ছিল। হঠাৎ ফোন আসে রোগীর খিঁচুনি হচ্ছে সঙ্গে অতিরিক্ত জ্বর। ভুলভাল ইঞ্জেকশন দিয়ে চলে গেছে একটা মেয়ে। রোগীকে দেখতে গেলে সিকিউরিটি বের করে দিয়েছে। কারও কিছু হলে এর দায় কে নেবে?” সুমন দাস নামে আরেকজন ব্যক্তি বলেন, “বিকেলে চারটে ইঞ্জেকশন দেয় নার্সরা। রোগীর কাঁপুনি দেয়। জ্বর আসে। ওই ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরই এইসব হয়েছে। এই রকম করে প্রায় চোদ্দ-পনেরোজন অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।” আর এখানেই ফের উঠছে হাসপাতালের গাফিলতির প্রশ্ন। ধীরে ধীরে ভরসা হারাচ্ছে বাংলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা।

READ MORE:  মার্চেই মিলবে বকেয়া DA? সরকারি কর্মীদের জন্য বিরাট আপডেট

রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।

Scroll to Top