প্রীতি পোদ্দার, নয়া দিল্লি: খবরের কাগজের পাতা খুললেই নজরে আসে কোনো নেতা-মন্ত্রী, ব্যবসায়ী অথবা শিল্পপতিদের বাড়িতে ইডি ও সিবিআই হানা দিলে ঘর ভর্তি নোটের বান্ডিল মিলছে। কিন্তু এবার সেই কাণ্ডে এক অবাক করা ঘটনা ঘটল। এবার এক বিচারপতির (Delhi High Court) বাড়িতে আগুন নেভাতে গিয়ে বিপুল অর্থ ভাণ্ডারের হদিশ পাওয়া গিয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
ঘটনাটি কী?
গত বুধবার দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বাড়ির বাংলোয় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছিল। আর সেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘিরে বর্তমানে এক চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কারণ বাংলোয় আগুন লাগার পাশাপাশি বেরিয়ে এসেছে লক্ষাধিক নগদ টাকা। এদিন সরকারি বাংলোয় আগুন লাগার খবর দমকলকে জানান বিচারপতি যশবন্ত বর্মার পরিবারেরই লোকজন। খবর পেয়ে দ্রুত আগুন নেভাতে পৌঁছন দমকলের কর্মীরা। পৌঁছয় পুলিশও। আগুন নেভাতে গিয়ে দমকলের কর্মীরা বাংলোর একটি ঘর থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা উদ্ধার করেন। কিন্তু সেই সময় বিচারপতি ভার্মা দিল্লিতে ছিলেন না।
শাস্তিস্বরূপ বদলি বিচারপতির
প্রথমদিকে একজন বিচারপতির ঘোর থেকে এত পরিমাণ টাকা উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় পুলিশ ও দমকলের কর্মীরা বেশ ঘাবড়ে যান। তাঁরা কী করবেন প্রথমে বুঝতেই পারছিলেন না। পরে তাঁরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পুরো ঘটনা বিস্তারিত ভাবে জানান। সঙ্গে সঙ্গে খবর পৌঁছয় দিল্লির প্রশাসনিক মহলের সর্বোচ্চ স্তরে। আর সেখান থেকে খবর যায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার কাছে। দ্রুত কলেজিয়ামের মিটিং ডাকেন প্রধান বিচারপতি। এদিন প্রধান বিচারপতি-সহ পাঁচ সদস্যের কলেজিয়াম সঙ্গে সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেয় যে বিচারপতি বর্মাকে অবিলম্বে বদলি করা হোক এলাহাবাদ হাইকোর্টে।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
তবে বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে কলেজিয়ামের কিছু সদস্য, বিষয়টি শুধু বদলির মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে পদত্যাগের উপদেশ দিয়েছিল। কারণ শুধুমাত্র বসলির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে বিচার বিভাগের ভাবমূর্তিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে এবং প্রতিষ্ঠানের ওপর আস্থাও কমে যাবে। আরও বলা হয়েছে যে, যদি জাস্টিস বর্মা পদত্যাগে অস্বীকার করেন তবে এই বিষয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করা উচিত প্রধান বিচারপতির। ১৯৯৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া অভ্যন্তরীণ তদন্ত পদ্ধতি অনুযায়ী, কোনও বিচারপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অসদাচরণ বা শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ উঠলে প্রধান বিচারপতি প্রথমে বিচারপতির জবাব তলব করবেন।
সেই পদ্ধতিতে যদি প্রধান বিচারপতি সন্তোষজনক উত্তর না পান, তাহলে তিনি একটি তদন্ত প্যানেল গঠন করতে পারেন। যাতে সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারপতি এবং হাইকোর্টের দু’জন প্রধান বিচারপতি থাকবেন। কিন্তু সেই সব ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বদলির ওপর নজর দেওয়া হয়েছে। এর আগে ২০২১ সালের অক্টোবরে এলাহাবাদ হাইকোর্ট থেকে দিল্লি হাইকোর্টে বদলি হয়েছিলেন বিচারপতি বর্মা। কিন্তু তাঁর এই অপকান্ডের জন্য ফের তাঁকে বদলি হতে হল এলাহাবাদ হাইকোর্টে।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।