সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ভারতীয় রেলে এবার এক নতুন ইতিহাস যোগ হতে চলেছে। বারাণসী থেকে হাওড়া পর্যন্ত ৭৬০ কিলোমিটার পথ নাকি মাত্র ২ ঘন্টায় অতিক্রম করবে বুলেট ট্রেন (Howrah Varanasi Bullet Train)। হ্যাঁ একদম ঠিকই শুনেছেন। কেন্দ্র সরকারের এই উচ্চগতিসম্পন্ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এবার উত্তর ভারত থেকে পূর্ব ভারতের মধ্যে রেল যোগাযোগের গতি এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু কবে থেকে মিলবে এই বুলেট ট্রেন পরিষেবা? জানতে হলে সম্পূর্ণ পড়ুন।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
কেমন হবে এই রুট?
এখনো পর্যন্ত রেলের সূত্র মারফত যা জানা যাচ্ছে, বারাণসী থেকে হাওড়া পর্যন্ত রুটটি যাবে বারাণসী, বক্সার, আরা, পাটনা, গয়া, ধানবাদ, আসানসোল, দুর্গাপুর, বর্ধমান এবং শেষ গন্তব্য হাওড়া পর্যন্ত। এটি এক কথায় যোগাযোগের মাধ্যম নয়, বরং এই প্রকল্পকে ঘিরে পর্যটন, ব্যবসা, শিক্ষা, উন্নয়নমূলক দিগন্ত করে যাবে বলেই আশাবাদী রেল কর্তৃপক্ষ।
রুটের দূরত্ব এবং নির্মাণ পরিকল্পনা
যেমনটা জানা যাচ্ছে, এই রুটের মোট দৈর্ঘ্য হবে ৭৬০ কিলোমিটার, যার মধ্যে ২৬০ কিলোমিটার জুড়ে এলিভেটেড রেল লাইন প্রকল্প নির্মাণ করা হবে। আর এই গোটাটাই বিহারের হাত ধরে হবে। জানা যাচ্ছে, এই এলিভেটেড অংশে উচ্চগতির ট্রেন চালানোর জন্য উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে, যাতে নিরাপত্তা এবং সময় দুটোই বাঁচে।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
বুলেট ট্রেনের গতি এবং সময় সীমা
যেমনটা অনুমান করা হচ্ছে, এই বুলেট ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি হতে পারে ৩৫০ কিমি./ঘন্টা। বারাণসী থেকে হাওড়া পর্যন্ত সম্ভাব্য সময় লাগবে ২ ঘন্টা। কিন্তু কোন বিশেষ ক্ষেত্রে সাড়ে ৩ ঘন্টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। ফলে ব্যবসায়িক এবং ব্যক্তিগত যাত্রা উভয়ক্ষেত্রেই আরও গতি আসবে।
সমীক্ষা ও প্রজেক্ট রিপোর্টের কাজ
রেলের সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিটেলস প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরির কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে বিহার অংশে জমি চিহ্নিতকরণ এবং সমীক্ষার কাজ অনেকটাই গতি পেয়েছে। এছাড়া রুটের মধ্যে থাকা প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ শহরকে ঘিরে রেল পরিকাঠামো উন্নত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
কবে থেকে শুরু হবে যাত্রীর পরিষেবা?
এখনো পর্যন্ত এই প্রকল্পের চূড়ান্ত উদ্বোধনের তারিখ ঘোষণা করা হয়নি। তবে রেল মন্ত্রকের উচ্চপদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, ২০১৭ সালের মধ্যেই এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করার লক্ষ্য রয়েছে। যদিও এর আগে মহারাষ্ট্র-গুজরাট বুলেট ট্রেন প্রকল্পের জন্য লাইন পাতার কাজ চলছে। আর সেই প্রকল্পের হাত ধরেই এবার নতুন রুট বাস্তবায়ন করা হবে।
ফলে ভবিষ্যতে যাত্রী পরিষেবা এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাবে, এটা আশা করা যায়। সময় বাঁচানোর পাশাপাশি ভারতের পরিকাঠামোগত উন্নয়নেও এক যুগান্তকারী পরিবর্তন আসতে চলেছে।