হাতের লেখাও অনেক সময় মানুষের ব্যবহারের পরিচয়ক। মানুষের হাতের লেখা যত সুন্দর মনে করা হয় সেই ব্যক্তির মন ব্যবহার ততটাই ভালো। কারন আপনার ব্যক্তিত্ব ফুটে ওঠে আপনার লেখায়। শুধু তাই নয় যার হাতের লেখা যত সুন্দর সেই লেখা পড়ার প্রতিও আগ্রহ ততটাই বৃদ্ধি পায়। একই সঙ্গে এই হাতের লেখা শিক্ষার্থীদের জীবনে এগিয়ে যেতেও অনেকটাই সাহায্য করে।
হাতের লেখা যদি অস্পষ্ট, খারাপ হয় তাহলে সেই শিক্ষার্থীর ওপর শিক্ষকদের খারাপ ধারণা তৈরি হয়। অর্থাৎ হাতের লেখা কিন্তু আপনার অন্যতম পরিচয় হয়ে ওঠে। আপনাকে জন সমাজে পরিচিতি দেয়। তাই যদি আপনার সন্তানের হাতের লেখা খারাপ থাকে তাহলে প্রতিদিন চেষ্টা করুন হাতের লেখা ভালো করার।
তবে সম্প্রতি নেপালের এক শিক্ষার্থী নিজের হাতের লেখা দিয়ে মুগ্ধ করেছে বিশ্ববাসীকে। তার হাতের লেখা তাকে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর হাতের লেখার সম্মানে দিয়েছে। কাগজের উপর তার হাতের লেখা যেন মনে হচ্ছে মনি মুক্ত হীরে ছড়ানো। এই শিক্ষার্থীর নাম প্রকৃতি মল্ল।
সর্বপ্রথম অষ্টম শ্রেণীতে পড়াকালীন অবস্থায়। একটি অ্যাসাইনমেন্ট ইন্টারনেটে আলোড়ন সৃষ্টি করে। সেই হাতের লেখা এতটাই চিত্তাকর্ষক ছিল যে তার বিশ্বে ভীষণ রকমভাবে প্রশংসিত হয়। হাতের লেখা তো নয় যেন মনে হচ্ছে কেউ ছেপে দিয়েছে সেই লেখা। এতটাই নিখুঁত, নিপুন। বিশেষজ্ঞরাও তার হাতের লেখা দেখে রীতিমতো অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। এই লেখা যে কম্পিউটারের টাইপ করা নয় বরং হাতে লেখা তা দেখে তাজ্জব হয়েছিলেন সকলেই।