প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ সরকার একের পর এক নানা সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিয়ে আসছে সাধারণ মানুষের কাছে। আর সেই পরিষেবা মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দেওয়ার জন্য দুয়ারে সরকারের আয়োজন করা হয়েছে। সম্প্রতি নবম পর্যায়ের দুয়ারে সরকার চালু হয়েছে। এই ক্যাম্পের মাধ্যমে সাধারণত পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থিত মানুষদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয় একাধিক প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা।
আমাদের সাথে যুক্ত হন
Join Now
এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে এমন অনেক গ্রাম রয়েছে, যেখানে সরকারের পক্ষ থেকে চালু হওয়া প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা পৌঁছতে পারেনা। সেই সমস্ত গ্রামের মানুষকে রাজ্য সরকারের প্রকল্প সম্পর্কে অবগত করার জন্যই মূলত দুয়ারে সরকার ক্যাম্প আয়োজন করা হয়। কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, লক্ষ্মীর ভান্ডার-সহ রাজ্য সরকারের ৩৩টি প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য এই শিবিরগুলিতে আবেদন করতে ভিড় জমাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তবে দুয়ারে সরকার শিবিরগুলিতে বর্তমানে যে প্রকল্পের সুবিধা নিতে সবচেয়ে বেশি মানুষ আবেদন করছেন তা হল ‘বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা যোজনা’ প্রকল্প।
দারুণ সুবিধা দিচ্ছে সরকারের এই প্রকল্প
আসলে ‘বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা যোজনা’ প্রকল্প নিম্ন মধ্যবিত্তদের কাছে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত এক অত্যন্ত প্রয়োজনীয় প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে অসংগঠিত শ্রমিকদের ২ লক্ষ টাকা জীবন বীমা প্রদান করার পাশাপাশি আর্থিক নিরাপত্তা ও প্রদান করে থাকে। জানা গিয়েছে এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করলেই সরকার প্রতি মাসে অ্যাকাউন্টে ৫৫ টাকা করে জমা করে। এরপর গ্রাহকের ৬০ বছর বয়স উত্তীর্ণ হলেই চক্রবৃদ্ধি সুদের হারে যত টাকা সঞ্চয় হবে সেই টাকা তুলে দেওয়া হবে প্রাপককে। সর্বোচ্চ আড়াই লক্ষ টাকা এককালীন পেয়ে যাবে প্রকল্পের প্রাপক।
থাকছে আর্থিক নিরাপত্তার বড় সুবিধা
সূত্রের খবর, ‘বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা যোজনা’ র জন্য আবেদনকারীর বয়স ১৮ থেকে ৬০ বছর হতে হবে। সকলেই অর্থাৎ পুরুষ, মহিলা অসংগঠিত যে কোনও স্তরের শ্রমিক এই প্রকল্পের আওতায় নাম নথিভুক্তকরণ করতে পারে। এছাড়াও দুর্ঘটনা জনিত কারণে আবেদনকারীর যদি ৬০ বছরের মধ্যে মৃত্যু হয় তাহলে দু’লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়া হবে আবেদনকারীকে। তবে যদি অসুস্থতার কারণে মৃত্যু হয় তাহলে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়া হবে। আর এর সঙ্গেই সংযুক্ত হয়েছে “লস অফ এমপ্লয়মেন্ট” নামের আর্থিক নিরাপত্তা।
জানা গিয়েছে “লস অফ এমপ্লয়মেন্ট” নামক আর্থিক নিরাপত্তার মাধ্যমে যদি কোনও নির্মাণ কর্মী হাসপাতালে ভর্তি হয় তাহলে তাঁকে প্রথম পাঁচ দিন ভর্তির জন্য ৫০০ টাকা দেওয়া হবে। তারপর প্রতিদিন ২০০ টাকা করে এক বছরে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা তাঁকে প্রদান করবে রাজ্য সরকার এই প্রকল্পের মাধ্যমে। আর এই টাকা মিলবে একমাত্র হাসপাতাল বা নার্সিংহোম থেকে ছাড়া পাবার পর ডিসচার্জ সার্টিফিকেট এর মাধ্যমে।