ভারতের অন্যতম বৃহত্তম আর্থিক কেলেঙ্কারি হিসেবে পরিচিত পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (PNB) জালিয়াতি মামলায় অভিযুক্ত হীরা ব্যবসায়ী মেহুল চোকসি। ২০১৮ সালে এই কেলেঙ্কারির খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকে চোকসি পলাতক ছিলেন। সম্প্রতি, ২০২৫ সালের এপ্রিলে, বেলজিয়ামে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ভারত সরকার তার প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
কেলেঙ্কারির সূচনা: ২০১৮
২০১৮ সালের গোড়ার দিকে, পিএনবি-র মুম্বইয়ের ব্র্যাডি হাউস শাখায় প্রায় ₹১৩,৫৮০ কোটি টাকার জালিয়াতির ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। মেহুল চোকসি এবং তার ভাইপো নীরব মোদী, ব্যাঙ্ক কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে জাল লেটার অব আন্ডারটেকিং (LoU) এবং ফরেন লেটার অব ক্রেডিট (FLC) ব্যবহার করে এই বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেন।
পলায়ন ও আন্তর্জাতিক অনুসন্ধান
কেলেঙ্কারির খবর প্রকাশের পর, মেহুল চোকসি ভারত ছেড়ে অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডায় পালিয়ে যান এবং সেখানে নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। ভারত সরকার তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোল রেড কর্নার নোটিশ জারি করে এবং আন্তর্জাতিক আদালতে প্রত্যর্পণের আবেদন করে।
গ্রেপ্তার ও প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া: ২০২৫
২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে, বেলজিয়ামে মেহুল চোকসিকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভারত সরকার তার প্রত্যর্পণের জন্য বেলজিয়াম সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। চোকসির বিরুদ্ধে মুম্বইয়ের আদালত থেকে জারি করা দুটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে, যা ২০১৮ এবং ২০২১ সালে জারি করা হয়েছিল ।
আইনি প্রক্রিয়া ও ভবিষ্যৎ
মেহুল চোকসির প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে, তাকে ভারতে এনে সিবিআই এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) তদন্তের মুখোমুখি করা হবে। এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধেও তদন্ত চলছে।