১৬৮ বছরের ঐতিহ্যবাহী মসজিদ ভেঙে ফেলল যোগী সরকার! কারণ কী?
বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: যোগীরাজ্যে(Uttar Pradesh) ভাঙা পড়ল 168 বছরের পুরনো ঐতিহ্যের মসজিদ! সূত্রের খবর, উন্নয়নের রাস্তা পরিষ্কার করতেই উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের তরফে বহু পুরনো ঐতিহ্যশালী মসজিদটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, দিল্লি-মিরাট রিজিওনাল র্যাপিড ট্রানজিট সিস্টেমের নির্মাণ কাজের সুবিধার্থে মসজিদ ভাঙতে স্বেচ্ছায় সহায়তা করেছিলেন স্থানীয় মুসলিম বাসিন্দারা।
বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, উত্তরপ্রদেশের পাবলিক ওয়ার্কার্স ডিপার্টমেন্ট এবং ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন যৌথভাবে যোগীরাজ্যের র্যাপিড রেল প্রকল্পের কাজে হাত লাগিয়েছে। সূত্রের খবর, র্যাপিড রেল প্রকল্প রূপায়ণে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল 168 বছরের পুরনো ওই মসজিদটি। আর এরপরই মসজিদ কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনায় বসে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন।
মসজিদের স্থানীয় মুসলিম সদস্যদের সাথে দীর্ঘক্ষণ আলোচনার পর অবশেষে রাতারাতি এলাকায় ছোটি মসজিদ নামে পরিচিত ঐতিহাসিক ইসলামিক ধর্মীয় ক্ষেত্রটিকে ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে মসজিদ কর্তৃপক্ষ সকলেই। তবে বেশ কিছু রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, শুক্রবার মসজিদটি ভাঙার আগে তীব্র বিরোধিতা জানিয়েছিল স্থানীয়দের একটা অংশ। তবে তাতে মোম গলেনি। ভেঙে ফেলা হয় বহু বছরের ঐতিহ্যবাহী মসজিদটি।
উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে জানানো হয়, স্থানীয় মুসলিম বাসিন্দাদের সম্মতিতেই র্যাপিড রেল প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে মসজিদটি ভাঙা হয়েছিল। তবে ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় ক্ষেত্রটি ভেঙে ফেলার মুহূর্তে যাতে কোনও গন্ডগোল বা অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় তার জন্য মসজিদ চত্বরে মোতায়েন করা হয়েছিল নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের। সেই সাথে মসজিদ চত্বরে পাহারায় ছিলেন যোগী রাজ্যের পুলিশ কর্তারাও।
পিটিআইকে দেওয়া এক বিবৃতিতে, উত্তরপ্রদেশের অতিরিক্ত জেলাশাসক ব্রিজেশ কুমার সিং জানান, শুক্রবার মসজিদ অপসারণ প্রক্রিয়াটি পারস্পরিক চুক্তির মাধ্যমেই করা হয়েছে। একই সাথে, ধর্মীয় ক্ষেত্রটি ভেঙে ফেলে রেল নেটওয়ার্কের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য স্থানীয় মুসলিম বাসিন্দারা যথেষ্ট সহযোগিতা করেছিলেন।
অবশ্যই পড়ুন: আকাল পড়ল নাকি! SBI থেকে কোটি কোটি টাকা নিচ্ছেন ধোনি, কারণ কী?
প্রসঙ্গত, মসজিদ অপসারণের পর ছোটি মসজিদের এক প্রতিনিধি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মসজিদটি যে 168 বছর পুরনো তার যথাযথ নথি রয়েছে তাদের কাছে। যা মূলত মসজিদটির ঐতিহাসিকতা প্রমাণ করে। তিনি বলেন, আমাদের কাছে এই মসজিদের 1857 সালের নথি রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে ইসলামিক ধর্ম ক্ষেত্রটির বয়স জানতে চাওয়া হলে, তাদের সিংহভাগই বলেন, মসজিদটির বয়স ছিল প্রায় 168 বছর।
সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ আবহাওয়ার ডিগবাজি হয়তো একেই বলে। মাঝে যে হারে গরম বেড়েছিল তাতে করে…
সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: আজ ১ মে, বৃহস্পতিবার। আজকের রাশিফল (Ajker Rashifal) অনুযায়ী দিনটি কেমন যেতে…
সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: যারা প্রতি বছর আয়কর রিটার্ন (Income Tax Return) ফাইল করেন, তাদের জন্য…
অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম Amazon-এ আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে Great Summer Sale। এই সেলে জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের…
OnePlus আগামীকাল ১ মে থেকে Summer Sale এর ঘোষণা করেছে। যদিও এই সেল কবে শেষ…
OnePlus আগামীকাল ১ মে থেকে Summer Sale এর ঘোষণা করেছে। যদিও এই সেল কবে শেষ…
This website uses cookies.