প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অষ্টম বেতন কমিশন বাস্তবায়ন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। নতুন বেতন স্কেল কার্যকর হওয়ার পর বেতন কত বাড়বে তা নিয়ে অনেক জল্পনা-কল্পনা চলছে।
ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ জয়েন্ট কনসালটেটিভ মেশিনারি (জেসিএম) কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের বেতনে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির প্রস্তাবও করেছে। এই মুহূর্তে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টরের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর কী?
কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি নির্ধারণে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। জেসিএম ফিটমেন্ট ফ্যাক্টরকে ২.৫৭ এই উন্নীত করার প্রস্তাব করেছে, যা সপ্তম বেতন কমিশনের ফিটমেন্ট ফ্যাক্টরের তুলনায় একটি বড় লাফ বলতে পারেন। এবার সরকার যদি এতে সম্মত হয়, তাহলে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের বেতন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।
ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর বাড়লে কত টাকা বাড়বে?
যদি ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ২.৫৭ এ নির্ধারণ করা হয়, তাহলে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের বেতন প্রায় ১৫৭% বৃদ্ধি পেতে পারে। বর্তমানে, ন্যূনতম মূল বেতন প্রতি মাসে ১৮,০০০ টাকা। প্রস্তাবিত ফিটমেন্ট ফ্যাক্টরের সাথে, এটি প্রতি মাসে ৪৬,২৬০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। একইভাবে, ন্যূনতম পেনশন প্রতি মাসে ২৩,১৩০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
নতুন বেতন কমিশন কখন শুরু হবে?
যদি সবকিছু পরিকল্পনা অনুসারে চলে, তাহলে অষ্টম বেতন কমিশন ১ জানুয়ারী, ২০২৬ থেকে কার্যকর হবে। এর ফলে বর্তমান বেতন কাঠামোর সমাপ্তি ঘটবে, যা ২০১৬ সালে সপ্তম বেতন কমিশনের অধীনে বাস্তবায়িত হয়েছিল।
জানা গিয়েছে সরকার এখন ১.৯২ ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর রাখার কথা ভেবে দেখেছে, যা ন্যূনতম বেতন প্রতি মাসে ৩৪,৫৬০ টাকা অবধি পৌঁছে দিতে পারে। তাই কর্মচারীরা যে উচ্চতর ২.৫৭ ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর দাবি করছেন, তবে এটি বাস্তবায়ন করা নাও হতে পারে।
তবে, যদি ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ২.৫৭ হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে বকেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বেতন প্রায় ১৫৭ শতাংশ বাড়বে। এ প্রসঙ্গে, প্রাক্তন অর্থসচিব সুভাষ গর্গের মতো বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দিয়েছেন যে উচ্চতর ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর সরকারের আর্থিক বোঝা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে, তাই এটি বাস্তবায়ন করা কঠিন।