এবার ১ টাকা ও ২ টাকার কয়েন (Coin) নিয়ে বড়সড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে প্রশাসন। বহু দোকানদার এবং ব্যবসায়ী এখন নাকি এই কয়েন নিতে চাইছে না। যার ফলে সাধারণ মানুষ বিশেষ করে নিম্নবিত্তদের পকেটের কয়েন লেনদেনের বাইরে চলে যাচ্ছে। আর এর জন্য নাকি জেল পর্যন্ত হতে পারে। এমনই নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য প্রশাসন। কিন্তু হঠাৎ কেন এমন নির্দেশ? জানতে হলে অবশ্যই প্রতিবেদনটি পড়ুন।
কয়েন নিলেই বড়সড় বিপদ!
বাজারে বেশ কিছুদিন ধরে গুজব ছড়িয়েছে, ১ টাকা এবং ২ টাকার কয়েন নাকি বাতিল হয়ে গিয়েছে। কেউ বলছে, ব্যাংকে কয়েন নিচ্ছে না। আবার কেউ বলছে, কেউ নিচ্ছে না বলে আমি নিজেও নিচ্ছি না। আর এই ধরনের গুজব দোকানদার এবং ব্যবসায়ীদেরকে প্রভাবিত করছে। ফলে খুচরো লেনদেনে এই কয়েন নিতে নারাজ হচ্ছে অনেকেই। কিন্তু এতে সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়ছেন গরিব মানুষ।
প্রশাসনের কড়া বার্তা
এই পরিস্থিতি সামলাতে বলরামপুর জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রত্যেক দোকানদার এবং ব্যবসায়ীকে বাধ্যতামূলকভাবে ১ টাকা ও ২ টাকার কয়েন নিতে হবে। পাশাপাশি এসডিও এর মাধ্যমে সেই বার্তা সকলের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। মাইকিং করে জনসাধারণ এবং দোকানদারদের কাছেও জানিয়ে দিতে হবে বলেই নির্দেশ।
এমনকি যদি কেউ নির্দেশ মানতে অস্বীকার করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। প্রয়োজনে জেল এবং জরিমানাও হতে পারে।
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের হস্তক্ষেপ
যদিও বাজারে নানারকম মিথ্যা গুজব রটিয়ে বেড়াচ্ছে, কিন্তু রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বহুবার জানিয়েছে যে, ১ টাকা এবং ২ টাকার কয়েন সম্পূর্ণ বৈধ এবং লেনদেন করা যাবে। কেউ যদি তা নিতে অস্বীকার করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া
জেলার বেশ কয়েকজন ক্রেতার জানিয়েছেন, “আমাদের কাছে কয়েন থাকে। কিন্তু দোকানে গেলে সেই কয়েন নিতে চায় না। ছোটখাটো কেনাকাটা আমরা করতে পারছি না। এখন প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে অন্তত কিছুটা স্বস্তি মিলবে।” এক দোকানদার জানিয়েছেন, “ভয়ে অনেকেই কয়েন নিচ্ছিল না। এখন প্রশাসন বলেছে, তাই সবাই নিতে বাধ্য।“
এখন দেখার রাজ্য প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত কীভাবে আইনে প্রয়োগ হয় এবং সাধারণ মানুষের আর্থিক মর্যাদা ও নিরাপত্তা রক্ষা পায়।