প্রীতি পোদ্দার, হায়দরাবাদ: দেশে বেকারত্বের সমস্যা যেন দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। সারাদিনে দু’টাকা রোজগার করতে রীতিমত কালঘাম ফেলতে হচ্ছে সকলকে। সংসারের হাল ধরতে তাই দিনমজুরের কাজে যোগ দিচ্ছে অনেকে। আর এই অর্থের অভাবের জেরেই সংসারে অনটন যেন লেগেই রয়েছে। কারণ দিনমজুরের কাজ করে যে টাকা উপার্জন হয় তাতে সংসারের অভাব মেটে না। আর এই অভাব অনটনের মাঝেই এক দিনমজুরের ঘরে ২২ লাখেরও বেশি টাকার জিএসটি নোটিস (GST Notice) এসেছে।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
ঘটনাটি কী?
সূত্রের খবর, গত ৪ মার্চ তেলাঙ্গানার ভাণ্ডারি কোঠাগুদেম জেলার চন্দ্রগুণ্ডার বাসিন্দা জনপতি ভেঙ্কটেশ্বরালুর কাছে একটি নোটিশ এসেছে। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে যে জনপতি ভেঙ্কটেশ্বরালু ২২ লাখ ৮৬ হাজারেরও বেশি টাকার GST বাকি রেখেছেন। যা দেখে অবাক সকলে। রীতিমত এই নোটিশ এক দিনমজুর গরিবের কাছে হাস্যকর বটে। হাতে নোটিস পেয়ে জনপতি ভেঙ্কটেশ্বরালু অবাক হয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছেন। হঠাৎ কেনই বা এই নোটিস আসল। রীতিমত নোটিস পাওয়ার পর থেকে জনপতির জীবন আমূল বদলে গিয়েছে।
লাখ টাকার GST কর
বিষয়টি নিয়ে খোঁজ খবর করে জানা গিয়েছে, যে সংস্থার কথা এই নোটিসে উল্লেখ করে এই বিপুল পরিমাণ কর চাওয়া হয়েছে সেটার কোনও অস্বস্তিই নেই। এদিকে বিজয়ওয়ারার বাণিজ্যিক কর দফতরের সহকারি কমিশনারের পাঠানো নোটিশে ঘন অন্ধকার নেমে এসেছে জনপতি ভেঙ্কটেশ্বরালুর জীবনে। নোটিস সূত্রে জানা গিয়েছে, জনপতি ভেঙ্কটেশ্বরালুর একটি কোটি টাকার সংস্থা আছে। ওই সংস্থার নাম ‘ভাগ্যলক্ষ্মী এন্টারপ্রাইজ।’ আর এই সংস্থা ২০২২ সাল থেকে ব্যবসা করছে। জনপতি ভেঙ্কটেশ্বরালু এই সংস্থার মালিক। জনপতি ভেঙ্কটেশ্বরালুর ওই বিপুল পরিমাণ জিএসটি কর দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি দেননি বলেই এই নোটিস।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
নোটিস পাওয়া মাত্রই জনপতি ভেঙ্কটেশ্বরালু মজুরির কাজ ছেড়ে সংসার প্রতিপালন ছেড়ে ছুটতে হচ্ছে সরকারি দফতরে। সেখানকার প্রতিটি দফতরে আধিকারিকদের বলে বেড়াতে হচ্ছে যে, তিনি প্রতিদিনের রোজগারে সংসার চালান। কোটি টাকা সংস্থার মালিক তিনি নন। এমনকি ওই নামে কোনও কোম্পানি নেই। জনপতি মনে করেন, তাঁর আধার কার্ডের তথ্য ব্যবহার করে কেউ একটি প্যান কার্ড তৈরি করিয়েছে। তাঁর আরও দাবি, তিনি প্যান কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন মাত্র ৬ মাস আগে। অথচ এখন খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে পেরেছেন, ২০২২ সালেই তাঁর নামে কার্ড ইস্যু হয়ে গিয়েছিল। এতে পুরো ঘটনার পিছনে গভীর রহস্য লুকিয়ে রয়েছে।