৩৫১ কোটি টাকা বিতরণ, ফের ত্রাতার ভূমিকায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার, কারা পেলেন?
প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: নতুন বছর অর্থাৎ ২০২৫ এর শুরুর মুখেই পশ্চিমবঙ্গ সরকার বাংলার কৃষকদের জন্য এক নয়া সুখবর বয়ে নিয়ে এসেছিল। আসলে বিগত কয়েক মাসে আগে রাজ্যে যেমন বৃষ্টি দুর্যোগ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ঠিক তেমনি আছড়ে পড়েছে ঘুর্ণিঝড় ডানাও। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল প্রচুর ধান এবং সবজি ক্ষেত। যার ফলে প্রাকৃতিক বিপর্যযয়ে বিপাকে পড়েছেন বাংলার কৃষকরা। তাই তাঁদের এই ক্ষতিকর পরিস্থিতির হাত থেকে রক্ষা করতে রাজ্য সরকার শস্য বিমা প্রকল্প (Crop Insurance) চালু করেছিল।
জানা গিয়েছে রাজ্য সরকারের এই শস্য বীমা প্রকল্পে ৯ লক্ষ কৃষককে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে উঠে পড়ে লাগল রাজ্য সরকার। গত শনিবার নবান্নে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের নেতৃত্বে এক বৈঠকে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প নিয়ে পর্যালোচনা হয়। সেই আলোচনায় একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প নিয়ে আলোচনা চলতে থাকে। রবি ও বোরো মরশুমের জন্য বাংলা শস্য বিমা প্রকল্পে কৃষকদের নথিভুক্তির কাজ কতটা এগিয়েছে জানতে চাওয়া হয়েছে বৈঠকে। সূত্রের খবর ইতিমধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাংলা শস্য বিমা প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্ত ৯ লক্ষের বেশি কৃষক বাংলা শস্য বিমার আওতায় ক্ষতিপূরণ বাবদ পেল ৩৫১ কোটি টাকা। খরিফ মরশুমে ধান চাষ করে যাঁরা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন, তাঁরাই পেয়েছেন এই অর্থ।
অন্যদিক রবি ও বোরো মরশুমের জন্য বাংলা শস্য বিমা প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত ৭১ লক্ষ ৯৮ হাজার চাষির নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে বলে রিপোর্ট দিয়েছে কৃষিদপ্তর। এর মধ্যে আলুচাষির সংখ্যা ১২ লক্ষ ১৩ হাজার। এবারই প্রথম আলু ও আখ চাষিদের প্রিমিয়াম বাবদ কোনও টাকা দিতে হচ্ছে না চাষিদের। প্রথম থেকে আলু ও আখ ছাড়া অন্য কোনও ফসলের জন্য কৃষকদের প্রিমিয়াম বাবদ কোনও টাকা দিতে হতো না। এই দু’টি ফসলের জন্য সামান্য কিছু প্রিমিয়াম দিতে হত। কিন্তু গত বছরের বাজেটে ঘোষণা করা হয় যে কৃষকদের আর প্রিমিয়াম দিতে হবে না। ২০২৪-২৫-এর রবি ও বোরো মরশুম থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে।
এদিকে সরকারি সূত্রে খবর, ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে বাংলা শস্য বিমা প্রকল্পের জন্য বাজেট বরাদ্দ ছিল ১০২২ কোটি টাকা। পরের অর্থবর্ষে তা বাড়িয়ে ১১২৫ কোটি টাকা করা হয়। ২০২৫-২৬ সালে এই খাতে বাজেটে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ১৩১৩ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা। কিন্তু বাংলা শস্য বিমা প্রকল্পের জন্য এখনও পর্যন্ত ১ কোটি ১২ লক্ষ কৃষক মোট ৩৫৬২ কোটি টাকা পেয়েছেন। তার উপর সম্প্রতি বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পে রাজ্যের ১২ লক্ষ পরিবারকে প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা করে পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার। যা পশ্চিমবঙ্গ বাসীর কাছে অনেকটাই স্বস্তির বিষয়।
প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বাকি দিনগুলির মত গত ২২ এপ্রিল, মঙ্গলবারেও কাশ্মীরের ‘মিনি সুইজারল্যান্ড’ নামে পরিচিত…
ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সাহসী এবং ব্যতিক্রমী কনটেন্টের চাহিদা বাড়ছে। এই ধারার মধ্যেই উল্লু অ্যাপে সম্প্রতি মুক্তি…
সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: চাকরিপ্রার্থীদের জন্য দারুণ সংবাদ। এবার রাজ্যের স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে প্রচুর শূন্যপদে…
২০২৫ সাল থেকে ভারতে শ্রম আইনে এমন কিছু বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে যা দেশজুড়ে সমস্ত…
বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: দীর্ঘদিন পর অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছে ভারত। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় 26 জন নিরাপরাধ…
সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: এবার সেভিংস অ্যাকাউন্টে (Savings Account) মাস শেষে মোটা অঙ্কের টাকা জমবে। হ্যাঁ,…
This website uses cookies.