প্রীতি পোদ্দার, প্রয়াগরাজ: গত এক মাস ধরে কুম্ভ মেলায় লাখ লাখ পুণ্যার্থীদের আগমন যেন হয়েই চলেছে প্রয়াগরাজে। একের পর এক দুর্ঘটনা আটকে রাখতে পারছে না ভক্তদের আবেগকে। সঙ্গে তারকাদের ভিড়ও যেন উপচে পড়ার মত। এমনকি বিদেশ থেকেও আগমন হচ্ছে পুণ্যার্থীদের। আর এই আবহে এবার এই মহাকুম্ভ (Mahakumbh 2025) নিয়ে এক বিস্ফোরক তথ্য দিল যোগী আদিত্যনাথ।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
অনেকটাই কমেছে বেকারত্বের হার!
সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ শুক্রবার বিধানসভা অধিবেশন আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ গর্বের সুরে জানিয়েছেন যে, “ ১০ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে, আমরা ২৫ কোটি মানুষকে দারিদ্র্যসীমার উপরে আনতে সক্ষম হয়েছি। শুধু তাই নয় গত আট বছরে, আমাদের মোদি সরকার ছয় কোটিরও বেশি মানুষকে দারিদ্র্য থেকে বের করে এনেছে।” তাঁর কথায় মোদি আমলে প্রতিটি স্তরে প্রতিটি ক্ষেত্রেই একের পর এক পরিবর্তন এসেছে। পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের এইমুহুর্তে সবচেয়ে বড় সংস্কৃতি মহাকুম্ভ নিয়েও যোগী আদিত্যনাথ তুলে ধরেছেন বিস্ফোরক তথ্য।
বিনিয়োগের থেকেও অত্যাধিক লাভ সরকারের
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এদিন বিধানসভা অধিবেশনে মহাকুম্ভ এর সাফল্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে জানিয়েছেন যে, উত্তরপ্রদেশের অর্থনীতিতে ৩ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি প্রবৃদ্ধি আনতে চলেছে। তবে শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, বাণিজ্যের নিরিখেও মহাকুম্ভের সাফল্য অনস্বীকার্য। আসলে হিন্দু ধর্মের এই উৎসব সংগঠিত করতে রাজ্য সরকারের খরচ হয়েছে প্রায় ১৫০০ কোটি টাকা। তার নিরিখে পাল্টা এই মহা উৎসবে রাজ্যের ভাণ্ডারে এসেছে ৩ লক্ষ কোটি টাকা। এই উপার্জন শুধু প্রয়াগরাজ নয়, বারাণসী, অযোধ্যা-সহ প্রায় ১৫০ কিমি জায়গা থেকে উঠে এসেছে।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
যদিও উত্তরপ্রদেশের প্রশাসনিক ধনভাণ্ডারে এই লক্ষ্মীলাভের সম্ভাবনা অনেক আগেই টের পেয়েছিল যোগী সরকার। সেরকমই একটি ভবিষ্যৎবাণী করে রেখেছিলেন তাঁরা। হিসেবে ধরা হয়েছিল প্রায় ৪০ কোটি মানুষের আগমন ঘটবে এই মহাকুম্ভে, আর ব্যবসা হবে ২ লক্ষ কোটি টাকার। কিন্তু মহাকুম্ভের মাঝে একের পর এক দুর্ঘটনা মনে এই ব্যাপারে আশঙ্কা তৈরি করে দিয়েছিল। শেষে সব বাঁধা পেরিয়ে পুণ্যার্থীর সংখ্যা ইতিমধ্যেই ৬০ কোটি ছুঁয়েছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে রোজগারও।
এছাড়াও যোগী আদিত্যনাথ এদিন ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত গ্লোবাল ইনভেস্টমেন্ট সামিটের সাফল্যের কথাও তুলে ধরেছেন, ইউপি দেশের সেরা বিনিয়োগের গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। রাজ্য ৪০ লক্ষ কোটি টাকার প্রস্তাব পেয়েছিল যার মধ্যে ১৫ লক্ষ কোটি টাকার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। আর এই ১৫ লক্ষ কোটি টাকার অর্থ হল ৬০ লক্ষ যুবকের কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা। এটিই প্রথম সরকার যারা ৭.৫ লক্ষ যুবককে সরকারি পরিষেবা প্রদান করেছে।