বছরের শুরু থেকেই একের পর এক খারাপ খবরের ভিড়ে ফের আরও এক খারাপ খবর। চলে গেলেন আরও এক গুণী শিল্পী। জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে অন্ত্রের অস্ত্রোপচারের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়। অস্ত্রোপচারের পর হঠাৎই হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি।
কিন্তু অবস্থার উন্নতি হয়নি। ক্রমশই অবনতি হচ্ছিল। চলতি সপ্তাহের সোমবার থেকে অবস্থা আরও খারাপ হয়। এমনকি শিল্পীকে দেখার জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। এমনকি তার ডাকে নাকি সাড়াও দেন তাঁর প্রতুল দাদা। কিন্তু সবার সব ডাককে বিফল করে দিয়ে চলে গেলেন ‘আমি বাংলায় গান গাই’ খ্যাত শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়।
শুধু কি তাই? হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে চিকিৎসকদের ‘আমি বাংলায় গান গাই’ গেয়ে শোনান প্রবীণ গায়ক। বরিশালে জন্মগ্রহণ করলেও তাঁর বড় হয়ে ওঠা চুঁচুড়ায়। নিজের গানে কখনও বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার করেননি এই শিল্পী। শুধুমাত্র কন্ঠের জাদুতেই ভুবন ভরিয়েছিলেন। এমনকি নিজে কোনদিনও প্রথাগত কোনও তালিমও নেননি কারোর কাছ থেকে।
শুরুতে শিল্পীদের সঙ্গে মিলে অ্যালবাম প্রকাশ করলেও পরবর্তীতে বেশ অনেকগুলি একক অ্যালবাম প্রকাশ করেছিলেন তিনি। তাঁর অ্যালবামগুলোর মধ্যে জনপ্রিয় ‘পাথরে পাথরে নাচে আগুন’, ‘যেতে হবে’, তোমাকে দেখেছিলাম’, ‘স্বপনপুরে’, ‘অনেক নতুন বন্ধু হোক’, ‘হযবরল’, ‘দুই কানুর উপাখ্যান’, ‘ছোকরা চাঁদ’ ইত্যাদি। বলাই বাহুল্য, বাঙালির মননে চিরকাল বেঁচে থাকবেন শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়।