খরচ সামলাতে বড় সিদ্ধান্ত, ফের বাড়ছে ট্রেনের টিকিটের দাম! চিন্তায় যাত্রীরা

প্রীতি পোদ্দার, নয়া দিল্লি: পরিবহন ব্যবস্থায় রেল নেটওয়ার্ক এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। দিনে দিনে যেন আরও শক্তিশালী হচ্ছে ভারতীয় রেল। এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে রেল পরিবহন ব্যবস্থা পৌঁছায়নি, দেশের প্রায় প্রতিটি কোণেই পৌঁছে গিয়েছে ভারতীয় রেল। বিগত এক দশকে রেলের রুট যেমন সম্প্রসারণ হয়েছে, তেমনই একাধিক ট্রেনের সম্ভার নিয়ে এসেছে ভারতীয় রেল। বন্দে ভারত, অমৃত ভারত, দুরন্ত এক্সপ্রেস, শতাব্দী এক্সপ্রেস, রাজধানী এক্সপ্রেস ইত্যাদি। কিন্তু এবার পকেটের ওপর চাপ বাড়তে চলেছে যাত্রীদের। মহার্ঘ হতে চলেছে রেলের ভাড়া (AC Coaches Fare )।


গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন

Join Now

এসি কোচেই এবার ‘ডায়নামিক ফেয়ার’ ব্যবস্থা!

রেল পরিষেবা যতই নাগরিকদের কাছে সহজলভ্য পরিবহন হয়ে উঠুক না কেন রেলের কোষাগারের হাল ধীরে ধীরে খারাপ হয়ে যাচ্ছে। নানা পরিকল্পনা করা হলেও কিছুতেই কোষাগারের ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে আসছে না। আর তাই এবার বাধ্য হয়ে ভাণ্ডারের হাল ফেরানোর উদ্দেশ্যে এক নয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। জানা গিয়েছে এখন থেকে ট্রেনের যাবতীয় এসি কোচেই ‘ডায়নামিক ফেয়ার’ ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে। অর্থাৎ ট্রেনের প্রতি ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণেই পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকবে রেলের যাত্রী ভাড়ার পরিমাণ।

READ MORE:  ভারতীয় রেলের প্রথম অনলাইন টিকিট কবে কোথা থেকে কাটা হয়েছিল জানেন?

গতকাল অর্থাৎ সোমবার এমনই সুপারিশ করেছে রেলের স্ট্যান্ডিং কমিটি। আসলে ২০২২-২৩ আর্থিক বছর থেকেই রেলের অপারেটিং পরিমাণ সবসময় ৯৮ শতাংশের বেশি থাকছে। অর্থাৎ, ১০০ টাকা আয় করতে রেলের খরচের পরিমাণ ৯৮ টাকার বেশি হয়ে যাচ্ছে। তাই এই প্রেক্ষিতেও যাত্রীভাড়া বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়াও গতকাল এই কমিটি সুপারিশ করেছে যে এখন থেকে ট্রেনের নন-এসি এবং এসি ক্লাস কোচের ভাড়ার মধ্যে সামঞ্জস্য রাখার জন্য নিয়মিত ট্রেনের যাত্রীভাড়ার বিষয়টিকেও টার্গেট করা হবে। যদিও এক্ষেত্রে ট্রেনের ‘জেনারেল ক্লাস’কে মধ্যবিত্তের নাগালেই রাখার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।

কিন্তু, বর্তমানে চাহিদার সূত্রে যাত্রীদের পছন্দ বেশ পরিবর্তন হচ্ছে। আগে মধ্যবিত্তরা শুধুই ট্রেনের অসংরক্ষিত এবং নন-এসি কোচে ভ্রমণ করত কিন্তু এখন তাঁদের মধ্যে এখন অনেকেই থার্ড এসি কোচে টিকিট কাটার চেষ্টা করে। সেক্ষেত্রে কেন এসি কোচকে মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে ক্রমেই নিয়ে যাওয়া হচ্ছে? তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

রাজস্ব আদায় বৃদ্ধিতে রেলের পরিকল্পনা

আর তাই সব প্রশ্নের সমাধান করতে রেলের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সুপারিশ করেছে যে, নিম্ন আয়ের যাত্রীদের কথা মাথায় রেখেই রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির লক্ষ্যে রেলের একটি বহুমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করা প্রয়োজন। যেখানে সমস্ত এসি ক্লাস এবং প্রিমিয়াম ট্রেনে ডায়নামিক প্রাইসিং মডেল বাস্তবায়িত করা যেতে পারে। একইসঙ্গে ই-অকশন পলিসি, বিজ্ঞাপন, রেলের সম্পত্তিকে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের মতো নন-ফেয়ার রেভিনিউ ব্যবস্থা কার্যকরের সুপারিশও করেছে ওই কমিটি। রিপোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে ২০২০ এবং ২০২২ সালে রেলের যাত্রীভাড়ায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছিল। কিন্তু পরিবর্তন আনা হলেও সাবার্বান সার্ভিস মোট খরচের মাত্র ৩০ শতাংশ এবং নন-এসি পরিষেবা মাত্র ৩৯ শতাংশ ‘রিকভার’ করতে পেরেছে। এসি কোচের পরিষেবায় এই হার মাত্র সাড়ে তিন শতাংশ বলেই উল্লেখ করেছে কমিটি। তাই এবার এসি ক্লাসে ‘ডায়নামিক প্রাইসিং মডেল’ কার্যকরের সুপারিশ করেছে রেল।

READ MORE:  গরমের ছুটিতে ঘোরার প্ল্যান, অথচ ট্রেন হাউস ফুল! এই ৩ ট্রিকেই মিলবে কনফার্ম টিকিট

রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।

Scroll to Top