কোথাও দোলযাত্রা বা কোথাও হোলি। রঙের উৎসব ভারতবাসীর কাছে অন্যতম বড় উৎসব। বুরা না মানো হোলি হ্যায়! ৮ থেকে ৮০ মেতে ওঠে রঙের উৎসবে। আর এবার প্রকৃতির খামখেয়ালিপনার জেরে নাকি পন্ড হতে চলেছে এই দোলের উৎসব।
প্রত্যেকের বাড়িতেই প্রায় মজুদ হতে শুরু করেছে রঙ, আবির, পিচকারি। কারণ উৎসব হাজির। কিন্তু উৎসবের বাঁধভাঙ্গা আনন্দে আবহাওয়ার রক্তচক্ষু। বিগত কয়েকদিন ধরে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় নাজেহাল সাধারণ মানুষের জীবন। ভোরবেলা শীতের আমেজ, দুপুরে তপ্ত জীবন। আবার বিকেল হতেই হালকা ঠান্ডা ভাব।
সেই সঙ্গে তো রয়েছেই আবহাওয়া দপ্তরের একের পর এক ঘোষণা। শীতের বিদায়ের মুখে দাঁড়িয়ে এক অন্যরকম আবহাওয়া বাংলা জুড়ে। ফাল্গুনের শেষ ও চৈত্রের শুরুতেই দাবদাহের আশঙ্কা দক্ষিণবঙ্গে! তবে দক্ষিণবঙ্গ তপ্ত রোদে পুড়লেও বৃষ্টির দাপটে ভিজবে উত্তরবঙ্গ। দোলের আগে ব্যাপক পরিবর্তন হবে দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা।
এক ধাক্কায় প্রায় চার থেকে পাঁচ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা বেড়ে যাবে। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর দোলের দিন থেকেই দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে তাপমাত্রার পারদ ঊর্ধ্বমুখী হবে। কলকাতার তাপমাত্রা ছুঁতে পারে ৩৫ ডিগ্রির ঘর। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমানের মতো জেলাগুলিতে পারদ ৩৮ ডিগ্রির আশপাশে ঘোরাফেরা করবে। আর তাই হাঁসফাঁস দশা হবে বাঙালির।
দক্ষিণবঙ্গে যখন তীব্র দাবদাহ তা ঠিক উল্টো আবহাওয়া হবে উত্তরবঙ্গে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং ভিজবে। দোলের দিনও রেহাই নেই। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়ো হাওয়ারও পূর্বাভাস রয়েছে। চলতি সপ্তাহের ১৫ ই মার্চ পর্যন্ত চলবে এই বৃষ্টিপাত সর্বাধিক বৃষ্টিপাত হবে দোলের দিন বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।