সৌভিক মুখার্জী, কলকাতাঃ বিয়ে করলেই পাওয়া যাবে ১ লক্ষ টাকা। হ্যাঁ একদম ঠিকই শুনেছেন। কন্যা সন্তানদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে এবার নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে রাজ্য। এবার বিয়ের জন্য আর্থিক সহায়তা হিসেবে ১ লক্ষ টাকা দেবে উত্তরপ্রদেশ সরকার। তবে এই সুবিধা শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ করলেই পাওয়া যাবে। লক্ষ্য একটাই, দরিদ্র এবং মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়েদের বিয়েতে অর্থনৈতিক চাপ কমানো এবং সমাজে তাদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করা।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
বেশ কিছু সূত্র মারফত খবর, ‘মুখ্যমন্ত্রী সামুহিক বিবাহ যোজনা’ এর অধীনে কন্যাদের এই অনুদান প্রদান করা হবে। পাশাপাশি সরকারের অন্যান্য সামাজিক প্রকল্পের আওতায় আরও বিভিন্ন রকম সুবিধা প্রদান করা হবে, যা দরিদ্র পরিবারগুলির জন্য আশার আলো সঞ্চার করছে।
কেন নেওয়া হল এমন সিদ্ধান্ত?
বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে, অনেক দরিদ্র পরিবার সন্তানের বিয়ের খরচ সামলাতে পারছে না। কার্যত হিমশিম খেতে হচ্ছে। ফলে অনেকক্ষেত্রেই নাবালিকা বিবাহ বা অতিরিক্ত ঋণের বোঝা বাড়ছে। এই সমস্যা দূর করতেই এবার এই আর্থিক সাহায্যের চিন্তাভাবনা করেছে রাজ্য সরকার।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
রাজ্য সরকার জানিয়ে দিয়েছে, কন্যার বিয়ের জন্য আর্থিক সহায়তা হিসেবে ১ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হবে, যাতে দরিদ্র পরিবারের মেয়েদের ভবিষ্যত আরও সুনিশ্চিত হয়। পাশাপাশি বিয়ের পরেও মিলবে নানা রকম সরকারি সুবিধা। এখানেই শেষ নয়। মেধাবী ছাত্রীদের স্কুটি প্রদানের মত প্রকল্পের কথাও ঘোষণা করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। এতে মেয়েরা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারবে এবং উচ্চশিক্ষায় অব্যাহত থাকতে পারবে।
এই সুবিধা কারা পাবে?
সরকারের নীতিমালার আওতায় নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ করলেই মিলবে এই সমস্ত সুবিধা। প্রথমত আবেদনকারীর বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি হতে হবে। দ্বিতীয়ত, সমাজে আয়ের নিন্মসীমায় যারা রয়েছে তারাই এক্মাত্র এই সুবিধা পাবে। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, “আগামী এপ্রিল মাস থেকে শুরু হচ্ছে এই মুখ্যমন্ত্রী সামুহিক বিবাহ যোজনা। আমরা প্রত্যেক কন্যাসন্তানকে ১ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সহায়তা করবো।”
সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং প্রভাব
জানিয়ে রাখি, এই ঘোষণা করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তারে এই সিদ্ধান্ত সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছে, কন্যা সন্তানদের জন্য আর্থিক সহায়তা দেওয়া হলে পরিবারগুলির উপর থেকে অনেকটাই চাপ কমবে এবং বাল্যবিবাহ ও লিঙ্গ বৈষম্যরোধ দূর হবে। এখন দেখার বাস্তবে এই প্রকল্প কতটা সফলতা অর্জন করে।