আমরা সবাই জানি সরকার বেতন কাঠামোর সংশোধন অনুমোদন করেছে, যার ফলে বড় ধরনের পরিবর্তনের সম্ভাবনা ইতিমধ্যেই রয়েছে। তার উপরই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের (Govt Employees) জন্য একটি আনন্দের খবর। বেতন এবং পেনশন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে চলেছে। সাম্প্রতিক ঘটনাবলী অনুসারে, বেতন এবং পেনশন ৯২% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে!
বেতন সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল “ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর”, যা সরকারি কর্মচারীদের মূল বেতন এবং পেনশন সমন্বয় করতে ব্যবহৃত একটি গুণক। সরকারি কর্মচারীদের প্রতিনিধিত্বকারী জাতীয় কাউন্সিল জয়েন্ট কনসালটেটিভ মেশিনারি (এনসি-জেসিএম) সরকারকে কমপক্ষে ২.৫৭ ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ব্যবহার করার অনুরোধ করেছে।
আর ২.৫৭ ফিটমেন্ট ফ্যাক্টরের অর্থ হল কর্মচারীদের বেতন ১৫৭% বৃদ্ধি পাবে। উদাহরণস্বরূপ, সপ্তম বেতন কমিশনের অধীনে, এই গুণকের কারণে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মূল ন্যূনতম বেতন ৭,০০০ থেকে বেড়ে ১৮,০০০ টাকা হয়েছে।
ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ২.৫৭ হলে বেতন কতটা বাড়বে?
এখন, যদি সরকার অষ্টম বেতন কমিশনে একই ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ব্যবহার করতে সম্মত হয়, তাহলে বর্তমান সর্বনিম্ন ১৮,০০০ টাকা আয়কারী কর্মচারীদের বেতনে একটি বড় বৃদ্ধি ঘটবে। ২.৫৭ গুণকের মাধ্যমে, তাদের নতুন ন্যূনতম বেতন প্রতি মাসে প্রায় ৪৬,২৬০ টাকা হবে।
ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ২.৫৭ হলে পেনশন কতটা বাড়তে পারে?
কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের পেনশনেও উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা যাবে। বর্তমানে, সর্বনিম্ন পেনশন প্রতি মাসে ৯,০০০ টাকা, কিন্তু সংশোধিত ফিটমেন্ট ফ্যাক্টরের মাধ্যমে, এই পরিমাণ বেড়ে ২৩,১৩০ টাকা হবে।
বলা বাহুল্য, যদি সরকার অষ্টম বেতন কমিশনে ২.৫৭ ফিটমেন্ট ফ্যাক্টরের জন্য এনসি-জেসিএমের দাবি মেনে নেয়, তাহলে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা বেতন এবং পেনশন উভয় ক্ষেত্রেই উল্লেখযোগ্য উন্নতি আশা করতে পারেন।
এটি কেবল বর্তমানে ১৮,০০০ টাকা আয় করা কর্মচারীদেরই লাভবান করবে না বরং অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীদের সামগ্রিক আর্থিক নিরাপত্তাও বৃদ্ধি করবে। এই বেতন সংশোধন অবশ্যই সারা দেশের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মচারীর জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় স্বস্তি এবং আনন্দ বয়ে আনবে।