সম্প্রতি ১ জানুয়ারি, ২০২৬ থেকে কার্যকর অষ্টম বেতন কমিশন (8th Pay Commission) গঠনের অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই কমিশনের সুপারিশগুলিতে পরিবর্তন আনার আশাও করা হচ্ছে। তবে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা বিশেষ করে একটি বিষয় নিয়ে উদ্বিগ্ন। আর তা হল মহার্ঘ্য ভাতা (ডিএ) শূন্যে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে কিনা তা নিয়ে।
অষ্টম বেতন কমিশন কী? | 8th Pay Commission |
কেন্দ্রীয় সরকার নিশ্চিত করেছে যে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য অষ্টম বেতন কমিশন গঠন করা হবে। এই কমিশন কর্মচারীদের বেতন, পেনশন এবং ভাতা পর্যালোচনা করবে এবং সুপারিশ করবে যা ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। প্রত্যাশিত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনগুলির মধ্যে একটি হল কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের ন্যূনতম বেতন এবং পেনশন বৃদ্ধি করা।
ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর এবং বেতন বৃদ্ধি
বেতন বৃদ্ধি নির্ধারণে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই ফ্যাক্টরটি নির্ধারণ করে যে সংশোধিত বেতন কীভাবে গণনা করা হবে। কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে, কর্মচারীদের বেতন তাদের বর্তমান মূল বেতনে (সপ্তম বেতন কমিশনের অধীনে) ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর প্রয়োগ করে সংশোধন করা হবে।
অষ্টম বেতন কমিশনের জন্য প্রস্তাবিত ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ২.২৮ থেকে ২.৮৬ পর্যন্ত হতে পারে, যেখানে সপ্তম বেতন কমিশনে ২.৫৭ ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ছিল, যার ফলে বেতন বৃদ্ধির হার ২৩.৫% ছিল।
তাহলে মহার্ঘ্য ভাতা (ডিএ) উদ্বেগ কেন!
বেতন বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকলেও, কর্মচারীরা মহার্ঘ্য ভাতার (ডিএ) ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন। বর্তমানে, সপ্তম বেতন কমিশনের অধীনে কর্মচারীদের জন্য মহার্ঘ্য ভাতা ৫৩%, যা ৫৬% বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, বিশেষজ্ঞরা অনুমান করছেন যে অষ্টম বেতন কমিশনের অধীনে মহার্ঘ্য ভাতা শূন্যে পুনঃস্থাপন করা যেতে পারে এবং শুরু থেকেই শুরু করা যেতে পারে।
কেন এই উদ্বেগ?
যদি মহার্ঘ্য ভাতা শূন্যে পুনঃস্থাপন করা হয় বা ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়, তাহলে কর্মচারীদের সামগ্রিক বেতন উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেতে পারে কারণ নতুন নিয়ম অনুসারে তাদের মহার্ঘ্য ভাতা পুনরায় বৃদ্ধির জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এটি বিশেষ করে পেনশনভোগীদের উপর প্রভাব ফেলতে পারে, যারা মহার্ঘ্য ভাতা শূন্য থেকে পুনঃগণনা করা হলে অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারে।
বর্তমান পরিস্থিতি
এই মুহূর্তে, সরকার অষ্টম বেতন কমিশনে ডিএ শূন্য থেকে শুরু হবে কিনা সে সম্পর্কে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেনি। তবে, এই জল্পনা কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের, বিশেষ করে পেনশনভোগীদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে, যারা এই পরিবর্তনগুলি তাদের কীভাবে প্রভাবিত করবে তা নিয়ে অনিশ্চিত।
এককথায়, অষ্টম বেতন কমিশন গঠন ভবিষ্যতে বেতন এবং ভাতা কীভাবে কাঠামোগত হবে তা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্থাপন করেছে। ন্যূনতম মজুরি এবং পেনশন বৃদ্ধি একটি ইতিবাচক অগ্রগতি হলেও, ডিএ শূন্যে পুনঃস্থাপনের সম্ভাব্যতা অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত, কর্মচারীরা কেবল তাদের বেতন কীভাবে প্রভাবিত হবে সে সম্পর্কে স্পষ্টতার জন্য অপেক্ষা করতে পারেন।