বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: দিন আনা দিন খাওয়ার সংসার। ফেরিওয়ালার জীবন যা হয় আর কি। নাম শেখ মনিরুল ইসলাম। কৌতূহলের বশে জানা গেল, হুগলির (Hooghly) আরামবাগের মাধবপুর অঞ্চলের মহিষগোটের বাসিন্দা তিনি। কর্মসূত্রে প্রায়শই কলকাতায় যাতায়াত ছিল মনিরুলের। এমনই একদিন কর্ম প্রয়োজনে হাওড়ায় এসেছিলেন হুগলির বাসিন্দা মনিরুল।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
কী জানি এক অনাবিল আকর্ষণে কেটে ফেলেছিলেন 10 সেমের ডিয়ার লটারির একটি টিকিট। খরচ পড়েছিল 120 টাকা। বৃহস্পতিবার কাজের সূত্রে কলকাতায় এসে টিকিট মিলিয়ে দেখেন ভাগ্য ফিরেছে তাঁর। তবে হিসেবটা লাখে নয়, একেবারে কোটি টাকায় মিলেছে। সূত্রের খবর, 10 সেমের টিকিটে 1 কোটি টাকা জিতেছেন পেশায় ফেরিওয়াল মনিরুল ইসলাম।
নুন আনতে পান্তা ফুরনো সংসারে লক্ষীলাভ
বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, পেশায় ফেরিওয়াল মনিরুল খাবার ফেরি করে কোনও মতে সংসার চালাতেন। জানা যায়, মাথা গোজার ঠাই টুকুও নাকি ছিলনা তাঁর। স্থানীয় সূত্রে খবর, মাঝেমধ্যেই টিকিট কেটে ভাগ্য পরীক্ষা করার অভ্যেস ছিল মনিরুলের। আর সেই অভ্যাসই তাঁকে রাতারাতি কোটিপতি করে দিল।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
কোটিপতি হওয়ার খবর জানতে পেরে খুশিতে আত্মহারা মনিরুলের পরিবার
হুগলির আরামবাগের মহিষঘোটের বাসিন্দা শেখ শহিদুল ইসলামের ছেলে মনিরুলের লটারি প্রাপ্তির খবরে আনন্দে আত্মহারা পরিবার থেকে শুরু করে পাড়া-প্রতিবেশী সকলেই। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, হাওড়া থেকে লটারি কেটে পরবর্তীতে কলকাতার একটি দোকানে সন্ধ্যা সাড়ে 8টা নাগাদ নম্বর মিলিয়ে দেখেন মনিরুল। আর এরপর থেকেই ভাগ্য বদলে যায় হুগলির বাসিন্দা ওই ফেরিওয়ালার।
অবশ্যই পড়ুন: চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ের পর টিম ইন্ডিয়ার ওপর টাকার বৃষ্টি, ঘোষণা BCCI-র
লটারির অর্থ দিয়ে কী করবেন মনিরুল?
সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হুগলির বাসিন্দা মনিরুল জানিয়েছেন, লটারিতে যে অর্থ পেয়েছেন তাঁর বেশিরভাগটাই বাড়ি তৈরি ও জমি কেনার কাজে ব্যবহার করবেন তিনি। বাকি অর্থ ভবিষ্যতের জন্য ব্যাঙ্কে সঞ্চয় করবেন হুগলির লটারি বিজেতা মনিরুল। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ঠিক একই কথা জানিয়েছেন মনিরুলের বাবা শহীদুলও।