পশ্চিমবঙ্গের ২৬,০০০ চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁদের চাকরি পুনর্বহালের দাবিতে। ১১ এপ্রিল, ২০২৫ তারিখে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে তিন ঘণ্টার দীর্ঘ বৈঠকের পর আন্দোলনকারীরা জানান, সরকারের ওপর আস্থা রাখলেও তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
বৈঠকের পর আন্দোলনকারীরা এসএসসি ভবনের সামনে থেকে তাঁদের বিক্ষোভ অবস্থান তুলে নিয়ে শনিবার থেকে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অবস্থানে বসার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁদের দাবি, যতক্ষণ না যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে এবং ২০১৬ সালের পরীক্ষায় বসা ২২ লাখ চাকরিপ্রার্থীর ওএমআর শিটের মিরর ইমেজ ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হচ্ছে, ততক্ষণ তাঁরা প্রতিবাদ প্রত্যাহার করবেন না।
এছাড়াও, ১৬ এপ্রিল থেকে দিল্লির যন্তরমন্তরে ১৫০ জন চাকরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকা অবস্থান বিক্ষোভে বসবেন। তাঁদের বক্তব্য, রাজ্য সরকার যদি দাবি পূরণ না করে, তবে তাঁরা জাতীয় স্তরে আন্দোলন ছড়িয়ে দেবেন।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা এসএসসি তিনবার হলফনামা দিয়ে আদালতে জানিয়েছে এবং তা ওয়েবসাইটে প্রকাশে আপত্তি নেই। আইনি পরামর্শ নিয়ে সপ্তাহ দেড়েকের মধ্যে তালিকা প্রকাশ করা হবে। মিরর ইমেজ প্রকাশের বিষয়েও আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, “যে প্রতিশ্রুতি আমরা দিয়েছি সেটা যদি রাখতে না পারি তবে সত্যি তাঁদের আন্দোলনে থাকা উচিত।”
এই পরিস্থিতিতে, আন্দোলনকারীরা সরকারের ওপর আস্থা রাখলেও তাঁদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন। তাঁদের মতে, ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।