মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবার নতুন নিয়ম, পরীক্ষার্থীদের নিতে হবে ১৪ দফা শপথ

আদালতে গীতায় হাত রেখে শপথ নেওয়ার মত দিন এল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জীবনেও। এই বছর, মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রার্থীদের ১৪ দফা শপথ নিতে হবে। পরীক্ষার আগে তারা তাদের নিজস্ব স্কুলে এই শপথ নেবে। শপথের মধ্যে রয়েছে পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন বা কোনও ইলেকট্রনিক ডিভাইস না নিয়ে যাওয়া এবং জালিয়াতির জন্য অন্যায় উপায় ব্যবহার না করার মতো বিষয়গুলি।

মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র সংগ্রহের সময় এই নিয়মগুলি ব্যাখ্যা করবেন। এর আগে, সোশ্যাল মিডিয়া এবং পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এবার, এটি সরাসরি শিক্ষার্থীদের শেখানো হবে।

READ MORE:  GST থেকে পশ্চিমবঙ্গের রেকর্ড আয়! রাজ্যের উন্নয়ন এবার আরও দ্রুত এগোবে

কিছু লোক মনে করেন যে শিক্ষার্থীরা যদি তাদের অ্যাডমিট সংগ্রহের সময় না হয়ে পরীক্ষার দিন শপথ গ্রহণ করত, তবে তারা এই নিয়মগুলির গুরুত্ব আরও ভালভাবে বুঝতে পারত। ৩০ জানুয়ারি সকাল ১১ টা থেকে বিকেল ৫ টার মধ্যে অ্যাডমিট কার্ড বিতরণ করা হয়। শিক্ষার্থীরা তাদের অ্যাডমিট সংগ্রহ করার সময় শপথ গ্রহণও করেছিল। কিছু স্কুল এমনকি শিক্ষার্থীদের স্কুলে একসাথে ১৪ দফা শপথ গ্রহণ করতে বলেছিল।

পড়ুয়াদের কোন কোন শপথ নিতে হবে—

  • ‘পরীক্ষা কেন্দ্রে আমি মোবাইল ফোন নিয়ে যাব না।’
  • ‘অভিভাবককেও সঙ্গে নিয়েও যাব না।’
  • ‘পরীক্ষায় ভাল নম্বর অর্জনের জন্য অন্যায় উপায় অবলম্বন করব না।’
  • ‘পরীক্ষা কেন্দ্রে আমি কোনও প্রকার বৈদ্যুতিন যন্ত্র নিয়ে যাব না।’
READ MORE:  ডিএ বৃদ্ধির আশ্বাস দিয়েও কোন সিদ্ধান্ত নেই, হতাশ সরকারি কর্মীরা

এমনটা করার উদ্দেশ্য হল, পরীক্ষা শুরুর আগে শিক্ষার্থীদের নিয়মগুলি বুঝতে পারা। তবে, কেউ কেউ মনে করেন যে পরীক্ষার প্রথম দিনেই যখন সকল প্রার্থী উপস্থিত থাকবেন, তখন শপথ গ্রহণ করালে ভালো হত।

এ প্রসঙ্গে, বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডলের দাবি, ‘এ বছর মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, অ্যাডমিট কার্ড বিলির দিনই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার সময়ে অবশ্য পালনীয় বিষয়গুলো শপথবাক্য পাঠ করাতে হবে। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আপত্তির কিছু নেই, কিন্তু সমস্যা হচ্ছে সব পরীক্ষার্থী এক দিনেই যে অ্যাডমিট কার্ড নিতে আসবে, তার কোনও গ্যারান্টি নেই।

READ MORE:  দলিলের জন্যে আর অফিসে অফিসে দৌড়াতে হবে না, অনলাইনেই হবে সব কাজ

প্রথম পরীক্ষার দিন শুরুতেই এটা করালে ভাল হত।’ যদিও নারায়ণ দাস বাঙুর মাল্টিপারপাস স্কুলের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় বড়ুয়ার কথায়, ১৪ দফার গাইডলাইন পাঠ করার পরেও যদি কোনও পরীক্ষার্থী অসাধু কাজ করলে, তার দায় স্কুলের নয়।

Scroll to Top