বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: হাইড্রোজেন বোমা (Hydrogen Bomb) তৈরিতে বিরাট সাফল্য চিনের। জানা গিয়েছে, দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে একেবারে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ক্লিন এনার্জি বিস্ফোরক ওরফে হাইড্রোজেন বোমা তৈরি করে ফেলেছে ড্রাগনের দেশ। জানলে অবাক হবেন, মাত্র 2 কেজি ওজনের সেই চিনা বিস্ফোরকের খবরে কার্যত কাঁপছে গোটা বিশ্ব! চিন্তা বেড়েছে ভারতেরও!
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
পরীক্ষায় সফল চিন
বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, চিনের রাষ্ট্রীয় জাহাজ নির্মাণ সংস্থা সিএসএসসির 705 গবেষণা ইনস্টিটিউট এই ভয়ানক বিস্ফোরকটি আবিষ্কার করেছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই হাইড্রোজেন সমৃদ্ধ বোমাটির ওজন মাত্র 2 কেজি। বেশ কয়েকটি রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ক্লিন এনার্জি বিস্ফোরক তৈরিতে মূলত ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রাইড নামক একটি কঠিন হাইড্রোজেন ভিত্তিক পদার্থ ব্যবহার করেছেন চিনা বিজ্ঞানীরা।
সূত্রের খবর, এই হাইড্রোজেন ভিত্তিক উপাদানটি প্রচলিত ট্যাঙ্কের তুলনায় অনেক বেশি হাইড্রোজেন সংরক্ষণ করে রাখতে পারে। চিনের বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যম যা জানাচ্ছে, ওই হাইড্রোজেন বোমাটির পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে বিস্ফোরণের সময় ওই হাইড্রোজেন ভিত্তিক উপাদানটি দ্রুত গরম হয়ে হাইড্রোজেন গ্যাস ছাড়তে থাকে।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
জানা যাচ্ছে, এই উপাদান হাইড্রোজেন গ্যাস ছাড়ার ফলে 1000 ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় তৈরি হয় আগুন, যা প্রায় 2 সেকেন্ড সময় ধরে স্থায়ী থাকে। গবেষকদের বেশির ভাগেরই দাবি, এই ধরনের বিস্ফোরন সাধারণত TNT বিস্ফোরণের তুলনায় 15 গুণ বেশি সময় ধরে চলে।
হাইড্রোজেন বোমাটির ক্ষমতা
বেশ কিছু সূত্র মারফত যা খবর, চিনা গবেষকদের হাতে তৈরি হাইড্রোজেন বোমাটি বিস্ফোরনের পর যে তাপ তৈরি করে তা সহজেই অ্যালুমিনিয়ামের মতো ধাতুকে গলিয়ে রাক করে দিতে পারে। জানা যাচ্ছে, এই হাইড্রোজেন বোমাটির বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই যা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট এলাকায় সমপরিমাণ ধ্বংসযজ্ঞ ঘটাতে সক্ষম।
অবশ্যই পড়ুন: ব্যবসার রাস্তা বন্ধের পর এবার বাংলাদেশে রেল প্রকল্প স্থগিত করল ভারত, নজরে বিকল্প পথ
উল্লেখ্য, বহু বিশেষজ্ঞ থেকে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আমেরিকার তাইওয়ান সহ দক্ষিণ চিন সাগরে শত্রুদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি ও বাড়াবাড়ির কারণে এই বিধ্বংসী বোমাটি তৈরি করেছে চিনের রাষ্ট্রীয় জাহাজ নির্মাণ সংস্থা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিন সাগরে শত্রুদের ক্রমবর্ধমান সামরিক উপস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে এই বিশেষ অস্ত্র ড্রাগনের দেশকে কৌশলগতভাবে আরও শক্তিশালী করে তুলবে।