কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৫ ঘোষণার পরেই নানারকম বিতর্ক সামনে এসেছে। এবারের বাজেটে আয়কর ছাড় এবং অন্যান্য সুবিধা ঘোষণা সত্ত্বেও রেশন ডিলারদের দীর্ঘদিনের দাবিগুলি মানা হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছে অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশন। এই পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে রেশন পরিষেবা বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রেশন ডিলাররা।
বৈঠক ডেকেছে ডিলার সংগঠন
রেশন ডিলারদের দাবিগুলি নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ডেকেছে অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশন সংস্থা। গত ৫ই ফেব্রুয়ারি হায়দ্রাবাদে এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে আন্দোলনের রোড ম্যাপ এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে, তাদের বঞ্চনার প্রতিবাদে এই বৃহত্তর আন্দোলনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
কেন এই প্রতিবাদ?
- ডিলারদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, রেশন সামগ্রীর উপর কমিশন বাড়ানোর। কিন্তু ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের নতুন বাজেটে সেই বিষয়ে কোন রকম ঘোষণা করা হয়নি।
- কেন্দ্রীয় বাজেটে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমানো বা মূল্যবৃদ্ধি রোধে কোনরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
- বাজেটে খাদ্য ভর্তুকি বাড়ানোর ঘোষণা করা হলেও রেশন ডিলারদের দাবি নিয়ে কোনো রকম পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
ডিলারদের দাবি এবং প্রতিবাদ
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু জানিয়েছিলেন, করোনার সময় রেশন ডিলাররা প্রাণ বাজি রেখে পরিষেবা দিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের পরিশ্রমের কোন মূল্যই কেন্দ্র সরকার দিতে পারছে না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা প্রতিবাদ চালিয়ে যাবে। প্রয়োজনে দেশ জুড়ে ধর্মঘট ডাকা হবে।
বিশ্বম্ভর বসু আরো বলেছিলেন, বাজেটে টিভি, মোবাইলের দাম কমানো হয়েছে। কিন্তু চাল গমের মতো নিত্য প্রয়োজন সামগ্রির ক্ষেত্রে কোন রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
দুই সপ্তাহ আগেই ডিলার সংগঠনের প্রতিনিধিরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং নীতি আয়োগ এর সঙ্গে বৈঠক সেড়েছিলেন। তখন তাদের আশা ছিল নতুন বাজেটে রেশন ডিলারদের দাবিগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। কিন্তু তা না হওয়ায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
রেশন পরিষেবা বন্ধের মত বড় পদক্ষেপ নিতে হলে সাধারণ মানুষের উপর এর কিরকম প্রভাব পড়বে তা নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠছে। তবে ডিলার সংগঠন মনে করছে, তাদের ন্যায্য দাবির স্বীকৃতি আদায়ের জন্য এই প্রতিবাদ করা উচিত।