যেতে পারেননি প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভে? চলে যান বাংলার এই স্থানে, কোথায় কখন জেনে নিন

ভারতবর্ষ ছবি উৎসবের কমতি নেই। এবং সেই উৎসব পালনে খামতিও রাখেন না দেশবাসীরা। একই রকম ভাবে পূণ্য অর্জনেও কোন ত্রুটি রাখতে চান না কেউই।‌ আর সেই জন্যই এখন ভারতবাসীর একটাই গন্তব্য প্রয়াগরাজ মহাকুম্ভ। সেখানে গিয়ে ত্রিবেনী সঙ্গমে শাহি স্নান সারলে যে পাপের বিনাশ হয়ে পূণ্য লাভ হবে।

তবে অনেকেই মনে ইচ্ছে থাকলেও পৌঁছতে পারেননি মহাকুম্ভে। বয়সজনিত কারণ হতে পারে, ভিড়ের আতঙ্ক হতে পারে, অথবা অর্থনৈতিক কারণও হতে পারে। কিন্তু এবার হয়তো মিটে যেতে পারে আপনার মহাকুম্ভে না যেতে পারার খেদ। কারণ এই বাংলার বুকে এমন একটি জায়গা রয়েছে যেখানে গেলে আপনি একই রকম পূণ্য অর্জন করতে পারেন।

READ MORE:  বাংলায় বন্ধের মুখে ১২০০ কলেজ, কেন্দ্রের নির্দেশে সিঁদুরে মেঘ দেখছে বিএড-ডিএলএড প্রতিষ্ঠানগুলি

মহাকুম্ভ

কোথায় সেই জায়গা? সেই জায়গা হল হুগলির ত্রিবেণী।‌ যেখানে আয়োজিত হয়েছে কুম্ভমেলা। চতুর্থ বারের জন্য। হুগলির ত্রিবেণীর সপ্তর্ষি ঘাটে তারই ভূমিপুজো পর্ব অনুষ্ঠিত হল এদিন। ১০০ জন সাধুর উপস্থিতিতে হল মঙ্গল অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়ে গেল। বাঙালি পূন্যার্থীদের কাছে ত্রিবেণী সঙ্গম অত্যন্ত পরিচিত একটি জায়গা। রাম মন্দিরের উদ্বোধনেও এই সঙ্গমের জল গিয়েছিল। জানা যায়, সাতশো বছরেরও বেশি সময় আগে হুগলির ত্রিবেণীতে কুম্ভস্নান উপলক্ষ্যে বিশাল জমায়েত হত।

READ MORE:  পিতৃপরিচয় ছাড়াই বাংলার কারাগারে ১৯৬ শিশুর জন্ম, কীভাবে? প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকার

একই সঙ্গে চৈতন্যদেবের অত্যন্ত প্রিয় জায়গা ছিল ত্রিবেণী। কথিত আছে, স্বয়ং মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেব ত্রিবেণীর ঘাটে পদার্পণ করেছিলেন । ত্রিবেণীর অত্যন্ত কাছে সপ্তগ্রাম একসময় ছিল ব্যবসার কেন্দ্র। এমনকি ইতিহাসের পাতাতেও এই সপ্তগ্রামের নাম রয়েছে ।‌ সেই সময়ের ব্যবসায়ীদের আধ্যাত্মিক সাধনার কেন্দ্র ছিল এই ত্রিবেণী। আর বর্তমানে ত্রিবেণীর সেই হৃত গৌরব পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

READ MORE:  খড়গপুর ডিভিশনে মেগা ব্লক, টানা ১৯ দিন বাতিল ৩০০ ট্রেন! কবে থেকে?

 

Scroll to Top