E-Shram Card: মিলবে ৩০০০ টাকা পেনশন, কেন্দ্র সরকারের এই প্রকল্পে নাম লিখিয়েছেন? | Central Government Pension Scheme

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ই-শ্রম কার্ড (e-Shram Card) থাকলেই হবে লক্ষীলাভ। ভারতের অসংগঠিত শ্রমিক যারা আর্থিক নিরাপত্তা এবং সামাজিক সুরক্ষার দিক থেকে অনেকটাই পিছিয়ে সেই সব শ্রমিকদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে এই ই-শ্রম কার্ড চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই প্রকল্পের আওতায় রয়েছেন দেশের প্রায় 20 কোটি মানুষ।


আমাদের সাথে যুক্ত হন

Join Now

যারা পেনশন থেকে শুরু করে দুর্ঘটনা বীমার মতো যাবতীয় সুবিধায় যথেষ্ট লাভবান। তবে যারা কেন্দ্রীয় সরকারের এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত তাদের জন্যই আজকের প্রতিবেদন। চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে একেবারে সহজ উপায়ে ই-শ্রম কার্ডের জন্য আবেদন করবেন। সেই সাথে থাকছে কার্ড সংক্রান্ত যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর।

ই-শ্রম কার্ড কী?

দেশের অসংগঠিত শ্রমিক যাদের নির্দিষ্ট কোনও আয়ের উৎস নেই অথবা ছোটখাট কাজ অর্থাৎ দিনমজুরির সঙ্গে যুক্ত শ্রমিক শ্রেণীর মানুষের জন্য এই ই-শ্রম কার্ড চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই কার্ড মূলত জাতীয় ডেটাবেসের অংশ, যা সাধারণত ভারতের শ্রম মন্ত্রণালয় দ্বারা পরিচালিত। ই-শ্রম কার্ডের দৌলতে গ্রাহকরা কোনও বড়সড় দুর্ঘটনা হলে সরকারের তরফে আর্থিক সহায়তা পান। এছাড়াও বৃদ্ধ বয়সে মাসিক পেনশন হিসেবে মোটা অঙ্কের অর্থ লাভ হয়।

READ MORE:  ক্যানসার নির্মূল হবে ভারত, মহিলা ও বাচ্চাদের টিকা দেবে কেন্দ্র সরকার, কবে থেকে?

ঠিক কী উদ্দেশ্যে ই-শ্রম কার্ড?

ভারত সরকারের উদ্যোগে দেশের অসংগঠিত শ্রমিক শ্রেণীর মানুষদের জন্য তৈরি ই-শ্রম কার্ড সরবরাহের মূল উদ্দেশ্য, সমাজের নিম্নবিত্ত মানুষ অর্থাৎ শ্রমিক শ্রেণীর আর্থিক ও সামাজিক সুরক্ষা প্রদান করা। এছাড়াও সরকারের বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্পের লাভ যাতে সাধারণ গ্রাহকরা নিতে পারেন তার ব্যবস্থা করা। পাশাপাশি একক পরিচয়পত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন সুবিধা ভোগের সুযোগ তৈরি করা।

ই-শ্রম কার্ড থাকলে কী কী সুবিধা পাওয়া যায়?

১) ভারতে বসবাসকারী সকল ই-শ্রম কার্ড গ্রাহকরা 60 বছর বয়সের পর থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্পের আওতায় প্রতিমাসে 3,000 টাকা করে পেনশন পাবেন।

২) মাসিক পেনশনের পাশাপাশি কোনও বড়সড় দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে ই-শ্রম কার্ড গ্রাহকের পরিবারকে 2 লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয় সরকার। তবে আংশিক বা শরীরের কোনও অংশের অল্প ক্ষতি অথবা অঙ্গহানি হলে সরকারের তরফে 1 লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায়।

READ MORE:  Holiday List: মার্চে একগাদা ছুটি, বন্ধ স্কুল কলেজ থেকে অফিস! দেখুন সরকারের হলিডে লিস্ট | March Government Holiday List School Collages Office Closed

৩) কেন্দ্রীয় সরকারের ই-শ্রম কার্ডের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সুবিধা হলো এই কার্ডের মহিলা গ্রাহক যারা গর্ভবতী অবস্থায় কাজ করতে অক্ষম সরকারের তরফে তাদেরকে আর্থিক সাহায্য করা হয়।

৪) উপরিউক্ত সুবিধা গুলি ছাড়াও ই-শ্রম কার্ড থাকলে গৃহহীন শ্রমিকদের বাড়ি তৈরির জন্য আর্থিক সাহায্য প্রদান করে সরকার। এছাড়াও কার্ড হোল্ডারদের সন্তানদের পড়াশোনার জন্যও বৃত্তি বা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়।

কারা ই-শ্রম কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন?

ভারতের অসংগঠিত শ্রমিক শ্রেণীর মানুষ অথবা দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ যাদের দৈনিক বা মাসিক রোজগার খুবই নগণ্য মূলত তারাই এই ই-শ্রম কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্ত বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রথমেই বলে রাখি, ই-শ্রম কার্ডের জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে আবেদনকারীর বয়স হতে হবে কমপক্ষে 16 বছর থেকে 59 বছরের মধ্যে।

একই সাথে যেসব ব্যক্তির আয়ের নির্দিষ্ট কোন উৎস নেই অথবা মাসিক আয় একেবারেই নিম্ন শুধুমাত্র তারাই এই কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন। বলা বাহুল্য, যে সকল ভারতীয়রা আয়কর দেন কিংবা EPFO এবং ESIC-এর ভোক্তা বা সদস্য তারা এই কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।

READ MORE:  Gold And Silver Price Today: দিন দিন কমেই চলেছে সোনার দর, আজ ফের পতন! দেখে নিন হলুদ ধাতু ও রুপোর নতুন দাম | Todays Gold And Silver Price

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস

ই-শ্রম কার্ডের জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে প্রত্যেক যোগ্য আবেদনকারীকে নিম্নলিখিত ডকুমেন্টগুলি সঙ্গে রাখতে হবে।

আধার কার্ড, প্যান কার্ড, পাসপোর্ট সাইজ ছবি, নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিবরণ, আধার কার্ডের সাথে লিঙ্ক করা মোবাইল নম্বর।

অবশ্যই পড়ুন: বাড়ি, গাড়ি থেকে বিনিয়োগ! কেজরিওয়ালকে হারানো প্রবেশের মোট সম্পত্তি কত জানেন?

ই-শ্রম কার্ডের জন্য কীভাবে আবেদন করবেন?

কেন্দ্রীয় সরকারের ই-শ্রম কার্ড পেতে আবেদন করার জন্য সরকারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট eshram.gov.in-এ গিয়ে সামনে আস ‘New Registration’ অপশনে ক্লিক করুন। এরপর ‘Registration on E Labour’ অংশে ক্লিক করে আধার নম্বরের সাথে সংযুক্ত মোবাইল নম্বর ও ওটিপি দিয়ে প্রথম ধাপ শেষ করুন। এরপর নিজের ব্যক্তিগত যাবতীয় ডকুমেন্টস ও ব্যাঙ্কের প্রয়োজনীয় বিবরণ দিয়ে সাবমিট করে দিন। এবং নিয়মিত অ্যাপ্লিকেশনের স্ট্যাটাস চেক করুন।

ই-শ্রম কার্ডের জন্য সরাসরি আবেদন করুন: APPLY NOW

Scroll to Top