পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের জন্য আবারো দারুন একটি সুখবর নিয়ে আসল রাজ্য সরকার। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন যে, লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্পের মাসিক ভাতা আরো বাড়তে চলেছে। এই প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যেই রাজ্যের কোটি কোটি মহিলারা উপকৃত হচ্ছেন। এবার তাদের জন্য একটি নতুন ঘোষণা করলেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
লক্ষীর ভান্ডারঃ মহিলাদের মাসিক আর্থিক সহায়তা প্রকল্প
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের চালু করা একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। এই প্রকল্পের আওতায় সাধারণ শ্রেণীর মহিলারা প্রতি মাসে ১০০০ টাকা এবং তফশিলি জাতি ও তপশিলি উপজাতি শ্রেণীর মহিলারা প্রতি মাসে ১২০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা পান।
সম্প্রতি খবর পাওয়া যাচ্ছিল, রাজ্য সরকারের পূর্ণাঙ্গ বাজেটে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের মাসিক ভাতা ১০০০ টাকা থেকে ১৮০০ টাকা করা হতে পারে। কিন্তু রাজ্যের বাজেটে এমন কোন ঘোষণা করা হয়নি। তবে আশা করা যাচ্ছে ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই প্রকল্পের ভাতা ১৮০০ টাকা করা হতে পারে। এর ফলে উপকৃত হবেন রাজ্যের আরও লক্ষাধিক মহিলা।
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন,” লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যেই দুই কোটির বেশি মহিলা নাম নথিভুক্ত করেছেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের মহিলারা আর্থিক দিক থেকে অনেকটাই উপকৃত হচ্ছেন। এবার আমরা এই প্রকল্পের ভাতার পরিমাণ আরো বাড়াতে চলেছি। মার্চ মাস থেকে এই পরিবর্তন কার্যকর হতে পারে।”
ভাতার পরিমাণ বাড়ানোর কারণ
চলতি বছরের শেষের দিকে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এই প্রকল্পটি ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর ভোট ব্যাংকে দারুন প্রভাব ফেলেছে। এই নতুন সিদ্ধান্তের ফলে মহিলাদের আরো বেশি করে রাজ্য সরকারের প্রতি আকৃষ্ট করবে। তাই বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই প্রকল্পের ভাতা বাড়িয়ে রাজ্য সরকার চাইছে তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্ককে আরও শক্তিশালী করতে।
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের প্রভাব
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের মহিলাদের আর্থিক স্থিতি মজবুত করা হয়। এই প্রকল্পের জনপ্রিয়তা তৃণমূল সরকারের ভোট ব্যাঙ্ককে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের পিছিয়ে পড়া মহিলারা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়।
কীভাবে আবেদন করবেন
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করতে হলে স্থানীয় ব্লক অফিস বা দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গিয়ে আবেদন করতে পারেন। এছাড়া অনলাইনের মাধ্যমেও এখন আবেদন করা যায়। এর জন্য পরিচয়পত্র হিসেবে আধার কার্ড, ব্যাংকের অ্যাকাউন্টের বিবরণ, জাতিগত শংসাপত্র ও স্বাস্থ্য সাথী কার্ড জমা দিতে হয়।
লক্ষ্মীর ভান্ডার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি দারুন পদক্ষেপ, যা মহিলাদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে। এই প্রকল্পের ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত রাজ্যের মহিলাদের মধ্যে আরও জনপ্রিয়তা করে তুলবে এই প্রকল্পকে। তাই যারা এখনো এই প্রকল্পে আবেদন করেননি তারা দ্রুত আবেদন করুন এবং এই প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করুন।