বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: হাইকোর্টে বিরাট ধাক্কা খেল রাজ্য! 2007 সালে নন্দীগ্রাম জমি আন্দোলনের (Nandigram Movement) সময়ে খুন ও অপহরণের দায়ে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান, আবু তাহেরসহ প্রায় 70 জনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। এবার সেই মামলাতেই মুখ পুড়লো বাংলার!
এক্সক্লুসিভ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
নিম্ন আদালতে মঞ্জুর হয়েছিল আবেদন
বেশকিছু সূত্র মারফত খবর, 307, 302 এবং 368 ধারায় রুজু হওয়া মামলায় অভিযুক্ত শেখ সুফিয়ান, আবু তাহের ও আরও 68 জন অভিযুক্তের মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে নিম্ন আদালতে আবেদন করে রাজ্য। রাজ্যের সেই আবেদন শুরুর দিকে মঞ্জুর করেছিল নিম্ন আদালত।
এরপর আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে পাল্টা জনস্বার্থ মামলা দায়ের হলে নিম্ন আদালতের সিদ্ধান্তকে উড়িয়ে দেয় হাইকোর্ট। খারিজ হয়ে যায় নিম্ন আদালতের রায়। আর সেই মামলায় অংশ নিয়েছিল রাজ্য সরকারও।
প্রিমিয়াম খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
হাইকোর্টের তোপের মুখে রাজ্য
নিম্ন আদালতে দাখিল হওয়া গুরুতর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন মঞ্জুর করা হলে সেই আবেদন খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট।। বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চের কড়া বার্তা, রাজ্যের কর্তব্য সমাজকে হিংসামুক্ত করা। খুনের মতো অপরাধের মামলা প্রত্যাহারের জন্য আবেদন জানানো নয়।
সমাজকে হিংসা মুক্ত না করে খুনের মতো অপরাধের মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। যার ফলে সমাজে ভুল বার্তা পৌঁছবে। এদিন রাজ্যকে তুলোধোনা করে বিচারপতিরা বলেন, মামলা প্রত্যাহার কখনই জনস্বার্থে হতে পারে না। অভিযুক্তরা যেই হোক না কেন তাদের প্রত্যেককেই বিচারের সম্মুখীন হতে হবে।
অভিযুক্তদের বিচারের সিদ্ধান্ত জানিয়ে এদিন আদালত আরও বলে, ভোটের হিংসা হোক কিংবা ভোট পরবর্তী হিংসা, রাজ্যের মানুষের জন্য হিংসা ত্যাগ করা উচিত। যেকোনও অপরাধের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্সের পথে হাঁটতে হবে রাজ্যকে।
উল্লেখ্য, 2007 সালে নন্দীগ্রাম আন্দোলনে অভিযুক্তদের মামলায় আগেই চার্জশিট পেশ করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু চার্জশিট পেশ করার পরেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে চলেছে তারা। কাজেই প্রশ্ন উঠছে, চার্জশিট পেশ করার পরও কীভাবে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানায় রাজ্য? ঠিক এই প্রশ্নকে সামনে রেখেই হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন দীপক মিশ্র ও নীলাঞ্জন অধিকারী।
এদিকে রাজ্যের তরফে ক্রমাগত আদালতে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে। এবার সেই কারণকে সামনে রেখেই রাজ্যকে তিরস্কার করল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এবার দেখার আদালতে বিচারপতিদের ভৎসনার পর এবার কোন পথে পা বাড়ায় রাজ্য সরকার?