ভারতবর্ষের মতো দেশে নিত্যদিনই বিভিন্ন রকমের ঘটনা ঘটে চলেছে। আর ঘটনা বহুল এই দেশে এমন এমন কিছু ঘটনা ঘটে যায় যা আমাদের রীতিমতো অবাক করে দেয়। আর সম্প্রতি সেইরকম একটি ঘটনা ঘটেছে বিহারের পাটনায়।
বর্তমান সময়ে আমাদের জীবনে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউবের (YouTube) বিরাট রমরমা। পড়াশোনা থেকে শুরু করে রান্নাবান্না সবকিছুই এখন ইউটিউবের দৌলতে দারুন সহজলভ্য। তা বলে চিকিৎসা? যে বিদ্যা অর্জন করতে মানুষের বছরের পর বছর কেটে যায় সেই বিদ্যা ইউটিউবের ভিডিও দেখে লাভ করা সম্ভব? সম্প্রতি এইরকমই কান্ড ঘটেছে বিহারে।
আর সেই ভয়ঙ্করী বিদ্যার কারণেই প্রাণ গেল এক তরতাজা যুবকের। বমি ও পেটে ব্যথার উপসর্গ নিয়ে পাটনার এক নার্সিং হোমে ভর্তি হয়েছিলেন ভোজপুরের এক যুবক। পরিবারের অভিযোগ, এরপর ওই নার্সিংহোমের চিকিৎসক ইউটিউব খুলে চিকিৎসা শুরু করেন। এবং অবশ্যম্ভাবী বিফল হন এবং মৃত্যু হয় ওই যুবকের।
তরতাজা যুবকের মৃত্যুর খবরে উত্তাল হয়ে ওঠে রোগীর পরিবার। শুরু হয় ভাঙচুর। সদ্য সিআইএসএফে চাকরি পাওয়া ওই যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়ে ওই যুবকের পরিবার। অভিযুক্ত চিকিৎসকের কড়া শাস্তির দাবি জানান তারা।
পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে অবস্থা বেগতিক দেখে পালাতে শুরু করেন নার্সিংহোমের চিকিৎসক এবং কর্মীরা। এরপর পরিস্থিতি সামাল দিতে নার্সিং হোমে ছুটে আসে পুলিস। রোগীর পরিবারকে তারা আশ্বাস দিয়েছে ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। এর আগেও বারবার বিভিন্ন ঘটনায় খবরে উঠে এসেছে বিহার। বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে, বিহারের অবস্থা যে কি তা ফের একবার আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল এই ঘটনা।