মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স জিও আবারও বাজারে নয়া প্রযুক্তি নিয়ে এসে চমক দিল। বাজারে আসতে চলেছে জিও কয়েন। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। এটি এমন একটি ডিজিটাল টোকেন, যা জিওর সমস্ত ইকোসিস্টেম পরিষেবার সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। ক্রিপ্টোকারেন্সির মতো দেখতে হলেও এটি মূলত একটি ডিজিটাল পয়েন্ট, যা জিওর বিভিন্ন পরিষেবায় ব্যবহার করা যাবে।
এই খবর শোনার পরেই জিও কয়েন নিয়ে মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। তবে এই কয়েন কীভাবে ব্যবহার করা যাবে, কীভাবে উপার্জন করা সম্ভব এবং এর মূল্য ঠিক কত হবে এসব প্রশ্নের উত্তর অনেকেই জানেনা। তাহলে আসুন বিস্তারিত জেনে নেই আজকের এই প্রতিবেদনে।
জিও কয়েন আসলে কী?
জিও কয়েন হল এমন একটা ডিজিটাল টোকেন, যা জিও পরিষেবা এবং অ্যাপগুলির মাধ্যমে সহজে ব্যবহার করতে পারবেন। এটি Ethereum বা Bitcoin-এর মতো ব্লকচেইন-ভিত্তিক ক্রিপ্টোকারেন্সি নয়, বরং এটি জিও সিনেমা, জিও সেভান বা অন্যান্য জিও পরিষেবার মত সংস্থাগুলিতে কাজ করবে।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, জিও কয়েনের দাম আনুমানিক ৪৩.৩০ টাকা হতে পারে। যদিও সংস্থার পক্ষ থেকে এখনো কোনো সরকারিভাবে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি। তবে আশা করা যায় এটি জিওর ইকোসিস্টেমের মধ্যে লেনদেনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে।
কীভাবে জিও কয়েন পাবেন?
জিও কয়েন পেতে হলে JioSphere অ্যাপ ব্যবহার করতে হবে। এটি Android এবং iOS উভয় প্ল্যাটফর্মেই রয়েছে। কীভাবে জিও কয়েন পাবেন চলুন জেনে নিই ধাপে ধাপে-
- সর্বপ্রথম Google Play Store বা Apple App Store থেকে JioSphere অ্যাপটি ডাউনলোড করুন।
- এরপর আপনার মোবাইল নাম্বার ও ইমেইল আইডি ব্যবহার করে একটি নতুন একাউন্ট খুলুন।
- প্রতিদিন অ্যাপ ব্যবহার করলে আপনি জিও করেন উপার্জন করতে পারবেন।
- JioMart, JioCinema, বা অন্যান্য জিও প্ল্যাটফর্মের অ্যাপে কেনাকাটা করলেই জিও কয়েন ব্যালেন্স বৃদ্ধি পাবে।
- এই জিও কয়েন সরাসরি পলিগন ব্লকচেইন ওয়ালেটে জমা হবে।
জিও কয়েন কীভাবে ব্যবহার করবেন?
জিও কয়েন শুধুমাত্র জিওর বিভিন্ন অনলাইন পরিষেবার জন্য ব্যবহার করা যাবে। এর মাধ্যমে JioMart-এ কেনাকাটা, JioCinema-তে সাবস্ক্রিপশন, JioSaavn-এ মিউজিক স্ট্রিমিং এবং জিওর অন্যান্য ডিজিটাল পরিষেবায় ছাড় পাওয়া যাবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জিও কয়েন ভবিষ্যতে ভারতের ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমে বড়সড় পরিবর্তন আনতে চলেছে এবং ক্রেতাদের জন্য বাড়তি সুবিধা নিয়ে আসছে।
জিও কয়েন কি ভবিষ্যতে বড় বিনিয়োগের সুযোগ?
এখনো পর্যন্ত জিও কয়েন শুধুমাত্র রিওয়ার্ড টোকেন হিসেবে ব্যবহার করার মত ডিজাইন করা হচ্ছে। তবে ভবিষ্যতে এটি কি সম্পূর্ণ ক্রিপ্টোকারেন্সিতে পরিণত হবে? এই নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে এখনো আলোচনা চলছে।
যদিও এই ডিজিটাল কয়েকটি সম্পূর্ণ ক্রিপ্টোকারেন্সির মতো তৈরি এবং বৈধতা পায় তাহলে বাজারে এটি নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে। তবে এই মুহূর্তে এটি শুধুমাত্র ইকোসিস্টেমের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
জিও কয়েন নিঃসন্দেহে মুকেশ আম্বানির একটি নতুন চমক, যা ডিজিটাল লেনদেনের ক্ষেত্রে বড়সড় পরিবর্তন আনতে পারে। এটি শুধুমাত্র একটি রিওয়ার্ড পয়েন্ট হলেও ভবিষ্যতে এটি আরো বড় পরিসরে ব্যবহারের সুযোগ মিলতে পারে।