শ্বেতা মিত্র, কলকাতা: কেন্দ্রীয় সরকারের ডিএ (Dearness Allowance) কাঠামো ও রাজ্য সরকারের DA কাঠামো এক নয়, আলাদা। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে স্পষ্ট কথায় বুঝিয়ে দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যথা সময়ে রাজ্য ডিএ বৃদ্ধি করছে না, এই মর্মে বাংলার সরকারী কর্মীদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে দীর্ঘ দিন ধরে। নতুন বেতন কাঠামো গঠন করার দাবি তাঁদের দীর্ঘ দিনের। কর্মীদের লাগাতার দাবির পর সংসদে অবশেষে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। “রাজ্য সরকার রাজ্য সরকারের বেতন কমিশন অনুযায়ী চলে। তার বেতন কাঠামো আলাদা। কেন্দ্রীয় সরকারের বেতন কাঠামো আলাদা। তারা তাদের মতো চলে”, বলেছেন মমতা।
বড় মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে এসেছে বাম আমলের কথা। বাম আমলে ডিএ বৃদ্ধির হার কেমন ছিল, আর বর্তমান সরকার ডিএ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত কী ভূমিকা পালন করেছে সেটাও তিনি বোঝাতে চেয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর মতে, “সিপিআইএম আমলে কত পর্যন্ত ডিএ হয়েছিল? ৩৫ শতাংশ। ১৩,০০০ কোটি টাকা দিতে হয়েছিল। আমরা ডিএ দিয়েছি কত? ২০১৯ সালে আমরা ষষ্ঠ বেতন কমিশন চালু করেছি। তার আগে পর্যন্ত আমরা ৯০ শতাংশ ডিএ দিয়েছিলাম। যেটার আর্থিক পরিমাণ ১ লাখ ৬৭ হাজার কোটি টাকা।”
বিস্ফোরক পোস্ট সরকারি কর্মীদের নেতার
মুখ্যমন্ত্রী যে সমস্ত দাবি করেছেন, তার সঙ্গে সর্বতোভাবে সম্মতি জানাতে পারছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন কনফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া (ফেসবুক) পোস্টে লিখেছেন, ” হ্যাঁ, আজ ঠিক বলেছেন- সিপিএম ৩৫% ডিএ দিয়েছে৷ কিন্তু তা দিয়েছে ০১.০৪.০৮ থেকে ০১.১২.১০ এর মধ্যে৷ অর্থাৎ ২ বছর ৮ মাসে মোট ৮ কিস্তি বা ৩৫%, তৃণমূল ০১.০১.১২ থেকে ০১. ০১. ১৮ পর্যন্ত ৬৫% (৭ বছরে) = মোট ১০০% পরবর্তী ০১.০১.১৯ একসঙ্গে ৪ কিস্তি বা ২৫% ডিএ যোগে ১২৫% হয়৷”
আরও পড়ুনঃ ৪ নয়, এক ধাক্কায় ৭ শতাংশ DA বৃদ্ধির ঘোষণা সরকারের! জুলাই থেকে লাগু
এরপর মলয়বাবু আরও লিখেছেন, “তাই বলি, ২০১৯ সালের আগে ১২৫% ডিএ দিয়েছি কথাটা মিথ্যা৷ ২০১৯ সালে ষষ্ঠ বেতন কমিশন হয় নি৷ ডিএ ছাড়া বেতন কমিশন হয়েছে ২০২০ সালের জানুয়ারি মাস থেকে৷ কেন্দ্র ও রাজ্য স্যালারি স্ট্রাকচার আলাদা বলছেন, কিন্তু কেন্দ্রের বেতন বৃদ্ধি হয়েছে ২.৫৭ গুণিতক, আমাদেরও বেতন বৃদ্ধি হয়েছে ২.৫৭।”