শ্বেতা মিত্র, কলকাতা: আবারও একবার চিত্তরঞ্জনের (Chittaranjan Locomotive Works) মুকুটে নয়া পালক জুড়ল। এমনিতে যত সময় এগোচ্ছে ততই একের পর এক মাইলফলক অর্জন করছে ভারতীয় রেল তবে এবারও সেটার ব্যতিক্রম ঘটলো না তবে এবার চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্কস যা করল তা সকলকে অবাক করে রেখে দিয়েছে বৈকি। ভারতীয় রেলওয়ে উৎপাদন ইউনিটগুলি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রেকর্ড উৎপাদন অর্জনের জন্য দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। তবে এবার চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্কস কয়েকশো লোকোমোটিভ উৎপাদন কড়ে শিরোনামে উঠে এসেছে।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
নতুন রেকর্ড গড়ল চিত্তরঞ্জন লোকমোটিভ
স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে চুরমার করে দিল চিত্তরঞ্জন। চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্কস (CLW) চলতি অর্থবছরে রেকর্ড ৫৮১টি লোকোমোটিভ উৎপাদন করে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক অর্জন করেছে। এটি যেকোনো অর্থবছরে CLW-এর সর্বকালের সেরা লোকোমোটিভ উৎপাদন কর্মক্ষমতা।
CLW বৈদ্যুতিক লোকোমোটিভ উৎপাদন
শুক্রবার, ভারতীয় রেলওয়ের দেশের শীর্ষস্থানীয় বৈদ্যুতিক লোকোমোটিভ প্রস্তুতকারক ৫৮১তম বৈদ্যুতিক লোকোমোটিভের উদ্বোধন করেছে। আর এর মাধ্যমে, CLW গত বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে এবং দেশে বৈদ্যুতিক লোকোমোটিভ উৎপাদনের জন্য নতুন মান স্থাপন করেছে।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
গত আর্থিক বছরে, CLW ৫৪০টি লোকোমোটিভের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৫৮০টি বৈদ্যুতিক লোকোমোটিভ উৎপাদনের সর্বোচ্চ পরিসংখ্যান রেকর্ড করেছে। সবথেকে বড় কথা, ২০২৩ সালে, CLW অমৃত ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের জন্য একটি বিশেষ লোকোমোটিভ ডিজাইন করে যা পুশ-পুল অপারেশনের জন্য প্রতিটি প্রান্তে সংযুক্ত থাকে যাতে এটি দ্রুত ভ্রমণ করতে পারে।
এবার বিশ্ব রেকর্ড গড়ার পথে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা?
২০১৯-২০ সালে প্রথমবার বিশ্ব রেকর্ড করেছিল চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা । সেইসময় ৪০২টি ইঞ্জিন বানিয়েই লিমকা বুক অফ রেকর্ডে নাম তুলেছিল চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা । এরপর ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ৪৩৭টি রেল ইঞ্জিন প্রস্তুত করেছিল চিত্তরঞ্জন। যেহেতু দেশে নিত্য নতুন ট্রেনের চাহিদা বাড়ছে, সেইসঙ্গে আরও নতুন রুটে ট্রেন ছুটবে তাই ইঞ্জিনের চাহিদাও এখন কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৩-২৪ সালে চিত্তরঞ্জনকেন ৫৪০টি ইঞ্জিন তৈরী করার টার্গেট দেয়।
এদিকে কারখানা বানায় ৫৮০টি ইঞ্জিন। আর এর মাধ্যমে সব রেকর্ড ভেঙে দেয় । এবার আরও ঝড়ের গতিতে কাজ হয়েছে । অর্থবর্ষ শেষ হওয়ার ৪২ দিন আগেই গত বছরের রেকর্ড ভেঙে ৫৪১ সফল ইঞ্জিন প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে এবছর । সেই হিসেবে প্রতিদিন ১. ৮টি করে ইঞ্জিন প্রস্তুত হয়েছে চিত্তরঞ্জনে। এই গতিতে কাজ চলতে থাকলে চলতি আর্থিক বছরে ৬৫০ উৎপাদনের সংখ্যা পেরিয়ে যাবে বলে মনে করছে কারখানার দক্ষ শ্রমিকরা ।