প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: এলাকায় এলাকায় আবর্জনা পরিষ্কার রাখতে প্রতিদিন ময়লা পরিষ্কার করার গাড়ি আসে। সেখানে বাড়ির সমস্ত ময়লা পরিষ্কার করার পাশাপাশি রাস্তাঘাটের ময়লাও পরিষ্কার করা হয়ে থাকে। তবে এবার সেই ময়লা ফেলার জন্য এখন মূল্য দিতে হবে এলাকাবাসীকে। বাড়ি থেকে আবর্জনা সংগ্রহের জন্য মাসিক ২০ টাকা ‘পরিষেবা মূল্য’ (Service Charge) নেওয়া শুরু হয়েছে ডানকুনি শহরে।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
আবর্জনা ফেলতে পৌরসভাকে দিতে হচ্ছে ২০ টাকা!
জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের অর্থ মন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুয়ায়ী কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন দফতর নির্দেশ দিয়েছে, প্রত্যেক পুরসভাকেই বাধ্যতামূলক ভাবে পরিষেবা মূল্য নিতে হবে। না হলে সংশ্লিষ্ট খাতে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুদান বন্ধ হয়ে যাবে। তাই নতুন বছর পড়তেই গত জানুয়ারি মাস থেকেই ডানকুনি পুর-কর্তৃপক্ষ রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের নির্দেশিকা অনুয়ায়ী প্রত্যেক বাড়ি থেকে আবর্জনা সংগ্রহের জন্য মাসিক ২০ টাকা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বর্তমানে ২১টি ওয়ার্ডে বাড়ি, আবাসন, হোটেল, বাণিজ্যিক কেন্দ্র থেকে আবর্জনা সংগ্রহের জন্য পরিষেবা মূল্য নেওয়ার কাজ শুরু হচ্ছে।
ক্ষোভ প্রকাশ করছে এলাকাবাসী
আর পুরসভার এই সিদ্ধান্তে রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী। তাঁদের মনে একটাই প্রশ্ন, প্রত্যেকবার পৌরসভাকে কর দেওয়ার পরেও আবর্জনা সংগ্রহের জন্য আলাদা টাকা কেন দিতে হবে? ডানকুনি ফুটবল মাঠ সংলগ্ন একটি আবাসনের এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘বিভিন্ন ওয়ার্ডে জল জমার সমস্যার সুরাহা করতে পারেননি পুর-কর্তৃপক্ষ। আমরা পুরকর দিই, এখন আবার বাড়ির আবর্জনা তুলতেও টাকা চাইছে পুরসভা। এতে শুধু আমি নই, অনেকই আপত্তি তুলছেন।’ অন্যদিকে পরিষেবার মান নিয়ে পুরসভার দিকে কটাক্ষ করেছে বিরোধী দল বিজেপি।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি এবং ডানকুনির প্রাক্তন উপ-পুরপ্রধান দেবাশিস মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পরিষেবা দিলে তবেই পরিষেবা মূল্য নেওয়ার অধিকার পুরসভার জন্মায়। কিন্তু ডানকুনি পুরসভা কোনোভাবেই সঠিক পরিষেবা দেয় না। স্বচ্ছ ভারত প্রকল্পে ডানকুনি পুরসভা চারটি ট্রাক্টর এবং বেশ কিছু আবর্জনাবাহী ছোট গাড়ি পেয়েছিল। কিন্তু সেই গাড়িগুলির মধ্যে দু’একটা চলে। বাকি পড়ে নষ্ট হচ্ছে।” যদিও সহমত নন উপ-পুরপ্রধান প্রকাশ রাহা। তিনি জানিয়েছেন, “ডানকুনি অন্যতম এক শিল্প শহর। এখানে বড় বড় কারখানা সহ শিল্পের সম্ভার যেন উপচে পড়ছে। এমনকি শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে আমরা ঢেলে সাজিয়েছি।”