শ্বেতা মিত্র, কলকাতা: মাছপ্রেমীদের জন্য খারাপ খবর। বিশেষ করে আপনিও যদি ইলিশ মাছপ্রেমী (Ilish) হয়ে থাকেন তাহলে আজকের এই খবরে আপনারও মন ভেঙে চুরমার হয়ে যেতে পারে।এবার বাংলাদেশের তরফে এমন এক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যার জেরে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে মৎস্যজীবীরা মহা বিপাকে পড়তে চলেছেন। জাতীয় মাছ ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এবার বাংলাদেশ সরকার চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে দুই মাসের জন্য মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। হ্যাঁ একদম ঠিক শুনেছেন।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
বড় ঘোষণা বাংলাদেশ সরকারের
শনিবার মধ্যরাত (১ মার্চ) থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। উত্তরের ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চর ভৈরবী পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার অভয়ারণ্য এলাকা জুড়ে এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।এই সময়ের মধ্যে, জেলার প্রায় ৪৪,০০০ নিবন্ধিত জেলেকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সকল ধরণের মাছ ধরা থেকে বিরত রাখা হবে।
সরকার আশা করে যে এই উদ্যোগ ইলিশ পোনা সংরক্ষণে সহায়তা করবে এবং শেষ পর্যন্ত ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধি করবে।জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, চাঁদপুর ও হাইমচরের স্থানীয় টাস্ক ফোর্স মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা পর্যবেক্ষণ ও প্রয়োগ করবে। তিনি আরও বলেন, সরকার জেলেদের জন্য খাদ্য সহায়তা হিসেবে চাল বরাদ্দ করেছে, প্রতিটি জেলে চার মাসের জন্য ৪০ কেজি চাল (ভিজিএফ) পাবে।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
আদেশ লঙ্ঘন করলে বড় শাস্তি!
বাংলাদেশ সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, এ সময় কোনও মাছ ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন ও মজুত সর্ম্পূণ নিষিদ্ধ থাকবে। আইন অমান্য করে কেউ মাছ ধরলে তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মৎস্য আইনে দুই বছর কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। ইতিমধ্যেই নাকি জায়গায় জায়গায় মাইকিং করে জেলেদের জাটকাসহ সকল ধরনের মাছ ধরা থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে ইলিশ কেনার ভাবনা চীনের!
এদিকে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বাংলাদেশ থেকে ১০০০ টন ইলিশ আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, “চীনে বাংলাদেশি ইলিশ মাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ইলিশ রপ্তানির মাধ্যমে বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর সুযোগ বাংলাদেশের রয়েছে।” গতকাল সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা এসকে বশির উদ্দিনের সঙ্গে এক বৈঠকে চীনা রাষ্ট্রদূত এই তথ্য জানান।