মহার্ঘ ভাতা নিয়ে আবারও বড়সড় আপডেট আসতে চলেছে। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে এই মহার্ঘ ভাতার অপেক্ষায় ছিলেন। শেষবার ৪ শতাংশ ভাতা বাড়ানো হয়েছিল। তবে আবারও ডিএ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছে, মার্চ মাসেই ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা আসতে পারে, যা কার্যকর হবে আগামী জানুয়ারি মাস থেকে। এই ঘোষণার পর সরকারি কর্মীদের মাসিক আয় আরো বাড়বে। চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক, কত টাকা ভাতা বাড়বে এবং কবে নাগাদ এই ভাতা বাড়তে পারে।
কেন গুরুত্বপূর্ণ এই আপডেট?
বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা সপ্তম বেতন কমিশনের অধীনে ৫৩% হারে ডিএ পাচ্ছেন। সাধারণত বছরে দুবার ডিএ সংশোধন করা হয়। প্রথমবার জানুয়ারি মাসে এবং দ্বিতীয়বার জুলাই মাসে। কিন্তু ২০২৪ সালে জানুয়ারি মাসের পর এখনো নতুন ডিএ ঘোষণা করা হয়নি।
তবে এবার হয়তো ভালো খবর আসতে পারে। রিপোর্ট অনুযায়ী, আগামী বুধবার মন্ত্রীসভার বৈঠকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। যদি সবকিছু পরিকল্পনামাফিক চলে, তাহলে হোলির আগেই সরকারি কর্মীদের জন্য ডিএ নিয়ে বড়সড় সুখবর আসতে পারে।
এবার কত শতাংশ বাড়তে পারে ডিএ?
বিশেষজ্ঞরা মনে করছে, এবার ৩% থেকে ৪% ডিএ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। ৩ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি হলে বর্তমানে ১৮,০০০/- টাকা বেতন পাওয়া একজন সরকারি কর্মীর ৯৫৪০/- টাকা ডিএ বেড়ে ১০,০৮০/- টাকা হবে।
আবার ৪% ডিএ বৃদ্ধি হলে ১৮,০০০/- টাকা বেতন পাওয়া একজন কর্মীর ডিএ বেড়ে ১০,২৯০/- টাকা হবে। যারা বেশি বেতন পান তাদের ক্ষেত্রে এই বৃদ্ধি আরও বেশি হবে। ফলে সরকারি কর্মী এবং পেনশনভোগীদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আপডেট হতে চলেছে।
কারা উপকৃত হবেন?
এই ডিএ বৃদ্ধির ফলে কেন্দ্রের প্রায় ৫০ লক্ষ সরকারি কর্মী এবং ৬৫ লক্ষ পেনশনভোগীরা সরাসরি উপকৃত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। বিশেষ করে ন্যূনতম ১৮,০০০/- টাকা বেতন পাওয়া সরকারি কর্মীরা এই বৃদ্ধির ফলে প্রতি মাসে অতিরিক্ত ৫৪০ টাকা থেকে ৭৫০ টাকা পর্যন্ত বেতন পাবেন।
রাজ্য সরকারি কর্মীদের খবর
এদিকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মীরা এখনও ষষ্ঠ বেতন কমিশনের অধীনে ১৪% হারে মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন। যদিও সম্প্রতি ৪% ডিএ বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে কর্মচারীদের একাংশ এতে খুশি নন। ফলে কেন্দ্র সরকারের ঘোষণার পর রাজ্য সরকার নতুন কোন পদক্ষেপ নেবে কিনা সেটাও এখন দেখার বিষয়।
সুতরাং, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা এখন অপেক্ষা করছে চূড়ান্ত ঘোষণার। যদি এই মাসে সুখবর আসে তাহলে সরকারি কর্মীদের জন্য আনন্দের মাত্রা দ্বিগুণ হয়ে যেতে পারে।