আরজি করে আরেক ভয়ঙ্কর কাণ্ড, কাঠগড়ায় জুনিয়র ডাক্তাররা

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গত বছর আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার পর থেকেই উত্তাল হয়ে উঠেছিল গোটা রাজ্য। বিচারের দাবিতে হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারেরা প্রথম দিন থেকে অবস্থান চালাচ্ছিলেন। সেই সময় চিকিৎসকদের ধর্না অবস্থানের কারণে চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হয়েছিল। তখন কোন্নগরের এক যুবকের মৃত্যু হয়। অভিযোগ উঠেছিল যে, বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এবার সেই একই অভিযোগ উঠে এল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ (RG Kar Medical Hospital) এবং হাসপাতালে। বিপাকে জুনিয়র ডক্টর ফ্রন্টের সদস্যরা।


গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন

Join Now

ডিউটিতে মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত চিকিৎসক!

সূত্রের খবর, সুজিত ঘোষ নামের বছর চল্লিশের এক ব্যক্তি বাড়িতে প্রচণ্ড অশান্তির জেরে বিষ খেয়েছিলেন। তড়িঘড়ি তাঁর দিদি গীতা ঘোষ হাড়োয়া থানা থেকে চিকিৎসার জন্য গতকাল অর্থাৎ বুধবার বিকেল চারটে নাগাদ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। রোগীকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগে এনে প্রথমে কার্ড করেন গীতাদেবী। এদিকে বিকেল চারটেয় কার্ড করার পর সন্ধে সাড়ে সাতটা পর্যন্ত রোগী বিনা চিকিৎসায় যন্ত্রণায় ছটফট করছিল। চিকিৎসা করতে এগিয়ে আসেনি কোনো ডাক্তার। এদিকে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে সেই সময় ডিউটিতে থাকাকালীন মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন ফার্স্ট ইয়ার পিজিটি ডা. সিতীশ।

READ MORE:  অনলাইনে টাকা লেনদেনে আসছে নতুন নিয়ম, UPI লেনদেনে লাগবে অতিরিক্ত চার্জ!

ঘটনা ধামাচাপা দিতে তৎপর জুনিয়র চিকিৎসকরা

এই ঘটনায় রোগীর পরিবারের তরফে গীতা ঘোষ জানিয়েছেন যে, অনেকক্ষণ বলার পরেও কোনো চিকিৎসক রাজি হচ্ছিলেন না তাঁর ভাইয়ের চিকিৎসা করাতে। টানা তিন ঘণ্টা চিকিৎসা না পেয়ে রীতিমত বেডে ছটফট করছিল সুজিত বাবু। শেষমেশ সাড়ে সাতটা নাগাদ চিকিৎসা শুরু হয়েছে। এদিকে ফার্স্ট ইয়ার পিজিটি ডা. সিতীশ ডিউটিতে ফোনে ব্যস্ত থাকায় তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে অনেকে। এমনকি গত বছর আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বিনা চিকিৎসায় তরুণের মৃত্যুর ঘটনাতেও নাম উঠেছিল এই ফার্স্ট ইয়ার পিজিটি ডা. সিতীশ এর। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমত কোমর বেঁধে নামল জুনিয়র ডক্টর ফ্রন্টের সদস্যরা।

জোর করে মুচলেকা দেওয়ার নির্দেশ রোগীর পরিবারকে

জানা গিয়েছে জুনিয়র ডক্টর ফ্রন্টের সদস্যরা রোগীর পরিবারকে সাদা কাগজে মুচলেকা দেওয়ার জন্য জোর করে। তাঁদের বলা হয়, “সাদা কাগজে লিখে দিন যে, সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু হয়েছে।” পাল্টা গীতা ঘোষ জানিয়েছেন, “আমি পড়াশোনা জানি না।” কিন্তু তারপরেও কয়েকজন বলে তাঁরা বয়ান লিখে দিচ্ছে তাতে যেন রোগীর পরিবার সই বা টিপছাপ দিয়ে দেয়। শুধু তাই নয়, নতুন করে আউটডোর টিকিট ছাপানোর ব্যবস্থা করেন জুনিয়র ডক্টর ফ্রন্টের সদস্যরা যাতে সময় নষ্টের কোনো প্রমাণ না থাকে। এদিকে গোটা ঘটনায় মুখবন্ধ রাখতে মেডিক্যাল অফিসার তাপস প্রামাণিকের ঘরে হুমকি দেন জেডিএফ সদস্য ডা. সীতিশ এবং ডা. রুবেল। যার ফলে ফের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় চিকিৎসকদের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

READ MORE:  বিশ্বে সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় দিল্লিকেও টেক্কা! কত নাম্বারে কলকাতা? চমকে দিচ্ছে রিপোর্ট

রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।

Scroll to Top