শ্বেতা মিত্র, কলকাতা: ফের একবার বড় সাফল্য পেল রেল। কলকাতা হাইকোর্ট-এর নির্দেশের পর অবশেষে বাংলার এক রেল লাইনে খুব শীঘ্রই ট্রেনের চাকা গড়াতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। আজ কথা হচ্ছে পূর্ব রেলের তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল প্রকল্প (Bishnupur-Tarkeshwar Rail Project) নিয়ে। একাধিক জায়গায় কাজ হলেও ভাবাদিঘি নিয়ে বারবার সমস্যায় পড়তে হয়েছে রেলকে। এই জায়গার জন্য দীর্ঘ ৮ বছর ধরে আটকে রয়েছে রেলের কাজ। অনেক প্রচেষ্টা স্বত্বেও জমি অধিগ্রহণের কাজ করে উঠতে পারেনি রেল। তবে এবার টনক নড়ল কলকাতা হাইকোর্ট-এর। এই রেল প্রকল্প নিয়ে বড় রায় দিল আদালত।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর লাইন নিয়ে বড় রায় আদালতের
ভাবাদিঘির ক্ষতির আশঙ্কায় তার উপর দিয়ে রেলপথ নিয়ে যাওয়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আপত্তিতে বন্ধ জমি অধিগ্রহণের কাজ। এই নিয়ে আবার জনস্বার্থ মামলাও দায়ের হয়েছিল। তবে এবার রায় দিল আদালত। এখন আপনিও নিশ্চয়ই ভাবছেন যে হইকোর্ট কী রায় দিয়েছে? বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি চৈতালি চট্টোপাধ্যায় দাসের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, অধিগ্রহণের কাজ সম্পন্ন হয়নি, এমন এলাকায় তিন মাসের মধ্যে আইন মেনে ক্ষতিপূরণ দিয়ে কাজ শুরু করতে হবে।
শুধু তাই নয়, রাজ্যকেও বিশেষ নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অধিগ্রহণের কাজের জন্য রাজ্যকে রেলকে পূর্ণ সাহায্য করতে হবে। জানা গিয়েছে, যেসকল জায়গায় ইতিমধ্যেই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছেন সেই অঞ্চলগুলিতে আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে কাজ শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতিদের ডিভিশন বেঞ্চ।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
মুখ্যমন্ত্রীকে নির্দেশ আদালতের
দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা রেল প্রকল্প নিয়ে প্রধান বিচারপতি জানান, ‘তা হলে তো এই প্রকল্পের কাজ অতি দ্রুত সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করা উচিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর। আমি আশা করব, তিনি নিজে থেকে উদ্যোগী হয়ে এই কাজ সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে রেলকে সহযোগিতা করবেন। আড়াই লক্ষ মানুষের স্বার্থের চেয়ে আড়াইশো মানুষের স্বার্থ বড় হতে পারে না।’
এদিন আদালতে স্থানীয়দের আইনজীবী রঘুনাথ চক্রবর্তী জানান, দিঘির উপর দিয়ে রেলপথ হলে দিঘির জলের প্রবাহ বাধা পাবে। তিনি জানান, “দীঘির জল এলাকার মানুষের কৃষিকাজে ব্যাবহার হয়। সাধারণ দিঘির জল অন্যান্য কাজেও ব্যবহার করেন।” যদিও তাঁর যুক্তি খারিজ করে দিয়েছে আদালত।