প্রীতি পোদ্দার, প্রয়াগরাজ: এবছর প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভ সাড়া ফেলে দিয়েছে বিশ্বের প্রতিটি কোণায়। ১৪৪ বছর পর আসা এক মহাযোগে চলতি বছরে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে আয়োজিত হয়েছিল এই মহাকুম্ভ মেলা। প্রায় দেড় মাস ধরে চলা এই ধর্মীয় সমাবেশ অনেকেরই ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিয়েছে। সামিল হয়েছিলেন প্রায় ৬৬ কোটিরও বেশি মানুষ। দেশের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন কোণ থেকে বহু মানুষ প্রয়াগরাজে সঙ্গমে ডুব দিতে হাজির হয়েছিলেন। যার দরুন যোগী সরকার বেশ কড়া নিরাপত্তার বলয় তৈরি করেছিল। আর এই বিশ্বব্যাপী মানুষের জমায়েতকেই এবার টার্গেট করতে চেয়েছিল জঙ্গিরা (Terror Attack During Mahakumbh)। এমনই বিস্ফোরক তথ্য উঠে এল।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
কড়া নিরাপত্তাই কাল হল জঙ্গিদের
গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে ডিজিপি প্রশান্ত কুমার জানিয়েছেন যে, ‘প্রয়াগরাজে বড়সড় হামলার ছক কষেছিল জঙ্গিরা। শত কোটির পুণ্যার্থীদের এই মহাকুম্ভের মেলাকেই তারা টার্গেট করেছিল। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ পুলিশের নিরাপত্তার বেড়া টপকাতে অপারগ ছিল জঙ্গিরা। যার দরুন তাদের পরিকল্পনা আর বাস্তবায়ন করতে পারেনি জঙ্গিরা। আর এই কথা নিজের মুখে স্বীকার করেছে ধৃত লাঝার মসিহ।
কীভাবে অস্ত্র এসে পৌঁছতে জঙ্গিদের কাছে?
এছাড়াও ধৃতকে জেরা করে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বাবর খালসার সদস্যদের কাছ থেকে অনেক অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে তিনটি গ্রেনেড, দুটি অ্যাক্টিভ ডিটোনেটর, ১৩টি কার্টিজেস এবং বিদেশি পিস্তল। আর এই আবহে প্রশ্ন উঠছে এই অস্ত্র গুলি কীভাবে তাঁদের হাতে এসে পৌঁছয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে পাক বর্ডারে আইএসআই মদতপুষ্ট হ্যান্ডলার ড্রোনের মাধ্যমে এই অস্ত্র ধৃত জঙ্গি মসিহর এর কাছে পৌঁছায়।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
এই অস্ত্র সমেত ধৃত মসিহর প্রথমে কৌশাম্বী, লখনৌ এবং কানপুর এই তিন রাজ্যে ছিল। তারপর সেখান থেকেই পরিকল্পনা ছিল প্রয়াগরাজে হামলা চালাবে। এবং হামলার পর সে পর্তুগালে পালিয়ে যাবে। কিন্তু কড়া প্রহরার কারণে হামলার প্ল্যান সম্পূর্ণ ভেস্তে যায়। অন্যদিকে হরিয়ানার ফরিদাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল এক সন্দেহভাজন জঙ্গিকে। দাবি করা হয়েছিল, রামমন্দিরে হামলা করার ছক কষছিল সেই সন্ত্রাসবাদী আব্দুল রহমান। সম্প্রতি এসটিএফ জেরা করতেই বিস্ফোরক তথ্য দিল এই অভিযুক্ত।
জানা গিয়েছে মহাকুম্ভে হামলার জন্যে আব্দুলকে ফরিদাবাদ থেকে হ্যান্ড গ্রেনেড নিতে বলেছিল তার পাক হ্যান্ডলার। কিন্তু হঠাৎ করেই তাঁর বাবার অসুস্থতার কারণে সে আর ফরিদাবাদ যায়নি। যখন বাবার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়, তখন সীমান্ত পার থেকে তার সহযোগী আব্দুলেকে অযোধ্যার রাম মন্দিরে হামলা করার নির্দেশ দেয়। ৪ মার্চের পর যেকোনও সময়ই অযোধ্যা রাম মন্দিরে হামলা করার কথা ছিল আব্দুলের। এখন এসটিএফ-এর দল গ্রেনেড সরবরাহকারী স্লিপার সেলের সন্ধান করছে।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।