সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: বর্তমান যুগে চাকরির যা অবস্থা, তাতে অনেকেই পড়াশোনা থেকে পিছিয়ে আসছে। আর আয়ের কোন উৎস না থাকলে সংসার চালানো কার্যত দুর্বিষহ হয়ে পড়ে। কিন্তু সমস্যা যতই বাড়ুক, সমাধানের পথও থাকে। আজ আমরা এমন একটি ব্যবসার (Business Idea) কথা বলব, যেখানে আপনি খুব কম বিনিয়োগে প্রতি মাসে মোটা অঙ্কের টাকা রোজগার করতে পারবেন। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
যদি আপনি মাত্র ৫০ হাজার টাকা পুঁজি দিয়ে এই ব্যবসা একবার শুরু করতে পারেন, তাহলে প্রতি মাসে ১ লক্ষ টাকা আয় করা কোন ব্যাপার না। এমনকি এই ব্যবসার কোন সময় ভাটা পড়ে না। সারা বছরই চাহিদা আকাশছোঁয়া থাকে। ফলে ক্রেতার কোন অভাব নেই, বরং লাভ স্থায়ী। চলুন এই ব্যবসা সম্পর্কিত বিস্তারিত জেনে নিই আজকের প্রতিবেদনে।
কোন ব্যবসার কথা বলছি আমরা?
আসলে আমরা বলছি স্টেশনারি দোকান (Stationery Shop Business) শুরু করার কথা। স্কুল, কলেজ, অফিস, আপনি যেকোনো জায়গায় ষ্টেশনারী সামগ্রীর দোকান খুলতে পারেন। কারণ স্টেশনারি দোকানের চাহিদা সব জায়গায় তুঙ্গে থাকে। আর ভারতে স্টেশনারি বাজার আগাগোড়ায় পাকাপোক্ত। বই, খাতা, কলম থেকে শুরু করে অফিস ফাইল, স্টেপলার, সমস্ত জিনিসের চাহিদা সবসময় বেশি থাকে। বিশেষ করে যদি আপনার দোকানটি আশেপাশের কোন স্কুল। কোচিং সেন্টার বা কলেজের পাশে থাকে তাহলে সব সময় ক্রেতার ভিড় থাকবে।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
কত টাকা বিনিয়োগে শুরু করতে পারবেন এই ব্যবসা?
যদি প্রথমে ছোটখাটো একটা দোকান শুরু করতে চান, তাহলে মোটামুটি ৫০ হাজার টাকা আপনার জন্য যথেষ্ট। এই টাকা দিয়েই আপনি প্রাথমিকভাবে কিছু প্রয়োজনীয় পণ্য কিনে এনে দোকান চালু করতে পারবেন। তবে ভবিষ্যতে যদি আয় বাড়ে, তখন ধীরে ধীরে দোকানের পরিধি বাড়াতে পারেন। যদি আপনি বড় মাপের দোকান খুলতে চান, তাহলে কমপক্ষে ২ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতে হয়।
কোথায় দোকান খুললে বেশি লাভ হবে?
দেখুন, ব্যবসার লাভের অঙ্ক নির্ভর করে লোকেশনের উপর। সঠিক লোকেশনই ব্যবসার মূল চাবিকাঠি। মূলত স্কুলের আশেপাশে, কোচিং সেন্টার বা কলেজ সংলগ্ন এলাকা, সরকারি বা বেসরকারি অফিস পাড়া, বাজার বা হোস্টেল সংলগ্ন এলাকায় যদি স্টেশনারি দোকান খুলতে পারেন, তাহলে কোনদিনই ক্রেতার অভাব থাকবে না।
কী কী জিনিস রাখবেন দোকানে?
স্টেশনারি দোকানে রাখতে হবে কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। যেমন খাতা, নোটবুক, পেন, পেন্সিল, রাবার, মার্কার, স্কেল, কাটার, স্ট্যাপলার, গ্লু, ফেভিকল, টেপ, A4 পেপার, কার্ডবোর্ড, ক্যালকুলেটর, পেপার ক্লিপ, ফাইল, খাম ইত্যাদি। প্রাথমিকভাবে সাধারণ সামগ্রীর পাশাপাশি প্রয়োজন অনুযায়ী ধীরে ধীরে আরো জিনিস বাড়াতে পারেন।
কত টাকা আয় হতে পারে?
আপনি যদি ছোট মাপের একটি দোকান চালান, তাহলে ১৫ হাজার টাকা থেকে ৪৫ হাজার টাকা প্রতি মাসে আয় করা কোন ব্যাপার না। তবে যদি দোকানটি একটু বড় করতে পারেন, তাহলে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকা হামেশায় আয় হয়। অর্থাৎ, শুধুমাত্র সঠিক জায়গা, সঠিক পণ্য এবং ব্যবসায়ীক কৌশল থাকলেই আপনাকে স্থায়ী রোজগারের পথ নিয়ে আর ভাবতে হবে না। তাই আপনি যদি বেকার হয়ে বসে না থেকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর কথা ভেবে থাকেন, তাহলে আজই এই ব্যবসা শুরু করুন।