লেটেস্ট খবর অটোকার আবহাওয়া খাওয়া -দাওয়া খেলা গ্যাজেট চাকরি জীবনযাপন জ্যোতিষ টেলিকম নিউজ প্রযুক্তি বিনোদন মোবাইল রাশিফল সৌন্দর্য স্কিমস স্বাস্থ্য ও ফিটনেস

Business Idea: ৩০ হাজার বিনিয়োগে তিনগুণ লাভ, কম সময়ে ধনী করবে এই ব্যবসা | Triple Profit On Investment Of Rs. 30,000

Published on:

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: দিনের পর দিন কর্মসংস্থানের সুযোগ কমছে আর বেকারত্বের হার বাড়ছে। তবে এমনটা ভেবে অনেকেই পিছিয়ে পড়ছেন। কারণ সঠিক পরিকল্পনা থাকলে কর্মসংস্থানের কোন অভাব হয় না। জানলে অবাক হবেন, কর্মসংস্থানের এখন নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে বিভিন্ন ব্যবসায়িক আইডিয়া (Business Idea)। তাঁর মধ্যে একটি হল মাছ চাষ। হ্যাঁ একদম ঠিকই শুনেছেন। বিশেষ করে বায়োফ্লক প্রযুক্তি (Biofloc Fish Farming) ব্যবহার করে এখন তরুণ কৃষকরা প্রচুর পরিমাণে মুনাফা অর্জন করছে। কম জায়গায়, কম খরচে এবং কম সময়ে মাছ চাষে এক কথায় বিপ্লব ঘটাচ্ছে এই বায়োফ্লক প্রযুক্তি। কিন্তু কীভাবে তা সম্ভব হচ্ছে? চলুন জানি আজকের প্রতিবেদনে।


গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন

Join Now

বায়োফ্লক প্রযুক্তি কী?

আসলে বায়োফ্লক প্রযুক্তি হল এমন একটি পদ্ধতি, যেখানে বিশেষ ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করে মাছের বর্জ্যকে প্রোটিনে রূপান্তর করা হয়। আর এতে মাছের খাবারের খরচ অনেকটাই কমে যায়। ফলে অল্প জায়গায় বেশি পরিমাণে মাছ চাষ করা যায়।

READ MORE:  Business Idea: সারাবছরই হাই ডিমান্ড, এভাবে মুরগি পালন ব্যবসা শুরু করলেই প্রতিমাসে আয় হবে ২ লাখ | Poultry Farming Business to Earn up to Rs 2 Lakh Every Month

কীভাবে কাজ করে এই প্রযুক্তি?

সূত্র বলছে, প্রথমে একটি সিমেন্ট বা পলিথিন দিয়ে ট্যাঙ্ক তৈরি করতে হয়। এরপর সেই ট্যাঙ্কে নির্দিষ্ট পরিমাণ জল ভর্তি করে মাছ ছাড়া হয়। সাধারণত মাছ যে সমস্ত খাবার খায় তার ৭৫% তাদের মল-মূত্র থেকেই বেরিয়ে আসে। তাই খাবারের খরচ অনেকটাই বেঁচে যায়। আর এই ট্যাঙ্কের ভিতরেই বায়োফ্লক ব্যাকটেরিয়া ময়লাগুলিকে প্রোটিনে রূপান্তর করে। ফলে অতিরিক্ত খাবার দিতে হয় না এবং মাছ আরো দ্রুত বৃদ্ধি পায়। 


বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে

Join Now

খরচ কেমন পড়বে?

হিসাব বলছে, ১০ হাজার লিটারের একটি ট্যাঙ্ক বানাতে খরচ পড়বে মোটামুটি ৩২ হাজার টাকা থেকে ৩৫ হাজার টাকা মত এবং এটি প্রায় ৫ বছর চোখ বন্ধ করে ব্যবহার করা যাবে। লাভ বলতে গেলে মাত্র ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করলে ৬ মাসের মধ্যে ৩ থেকে ৪ কুইন্টাল মাছ উৎপাদন করা যায়। আর বাজারে এই মাছ মোটা অঙ্কের টাকায় বিক্রি করে কয়েকগুণ মুনাফা পাওয়া যায়।

READ MORE:  Oil Price: বিশ্ববাজারে তলানিতে তেলের দর! কমবে পেট্রোল-ডিজেলের দাম? | Crude Oil Price Lowest In Last Four Years

এই পদ্ধতির বিশেষ কিছু সুবিধা

প্রথমত, বায়োফ্লক প্রযুক্তিতে মাছ চাষ করার জন্য আলাদা কোন পুকুর খননের প্রয়োজন হয় না। কম জায়গাতেই প্রচুর পরিমাণে মাছ চাষ করা যায়। দ্বিতীয়ত, ৪ মাস পরপর একবার মাত্র জলবদল করতে হয়। মাছের বর্জ্যই পুনরায় খাবারে পরিণত হয়। ফলে খাবারের খরচ বেঁচে যায়। এছাড়া অন্যান্য পদ্ধতির তুলনায় মাছ এখানে দ্রুত বৃদ্ধি পায়। সবথেকে বড় ব্যাপার, ভারত সরকারের প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনার আওতায় এখানে ৪০ থেকে ৬০% ভর্তুকি দেওয়া হয়।

READ MORE:  DA, DR নিচ্ছে আবার করছে ব্যবসাও! সরকারি কর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করল নবান্ন

কোন কোন মাছ চাষ করা যায়?

বেশ কিছু মাছ চাষির থেকে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, বায়োফ্লক প্রযুক্তিতে বিভিন্ন মাছ চাষ করা যায়। যেমন শিঙি মাছ, কই কার্প, পাবদা, কমন কার্প, পাঙ্গাস, তেলাপিয়া, দেশি মাগুর ইত্যাদি

সরকারি ভর্তুকির সুবিধা

যারা বিনিয়োগের ভয়ে পিছিয়ে যাচ্ছেন, তাদের জন্য সুখবর রয়েছে। কারণ প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনার আওতায় পুরুষ চাষিরা এখানে ৪০% এবং মহিলা চাষিরা ৬০% পর্যন্ত ভর্তুকি পেতে পারেন। ফলে যারা নতুন ব্যবসা শুরু করতে চাইছেন তাদের জন্য এটি সেরা সুযোগ হতে পারে। তাই যদি আপনি মাছ চাষ শুরু করে ভবিষ্যতে মোটা অঙ্কের মুনাফা উপার্জন করতে চান তাহলে এই সুযোগকে হাতছাড়া করবেন না।

About Author
Oindrila Sen

Oidrila Graduated in Masscom from Delhi Univercity, and Works as Content Curator at Kolkata Trend. Curate Content in various category like Bengali News, Entertainment, Tech Update, Lifestyle Update, Celebrity Gossip, Crypto Currency, Job Update and Many More.