পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম হু হু করে বাড়লেও আয় সেভাবে বাড়ছে না। এদিকে ভালো মাইনের চাকরি খুঁজে পাওয়াটাও বেডিশ দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই অনেকেই নিজস্ব ব্যবসা শুরুর জন্য প্ল্যানিং করছেন। আপনিও কি তেমনটাই ভাবছেন? তাহলে আজকের প্রতিবেদনটি আপনারই জন্য, এখানে একটি লাভজনক ব্যবসার সম্পর্কে জানাবো। যেটা প্রতিমাসে ৫০,০০০ টাকা থেকে ১,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত আয়ের সুযোগ দিতে পারে।
এক্সক্লুসিভ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
ব্যবসার আইডিয়া | Business Idea
যদি আপনি একটু বেশি টাকা ইনভেস্ট করতে পারেন তাহলে এমন একটা ব্যবসা শুরু করতে পারবেন যেটা শুরু থেকেই মোটা টাকা আয় করতে সক্ষম আর সারাবছরই ডিমান্ড থাকবে। ভাবছেন কিসের কথা বলছি? উত্তর হল বাইক সার্ভিস সেন্টারের ব্যবসা। একবার এই কাজ শুরু করলেই দেখবেন প্রতিমাসে আয় বাড়বে। আর যেহেতু বাজারে দুচাকার সংখ্যা বাড়তেই থাকছে তাই চাহিদাও কমে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই।
বাইক সার্ভিস সেন্টারের ব্যবসা | Bike Service Centre Busienss
বর্তমানে সময়ে দাঁড়িয়ে বাড়ির বাড়িতে পা রাখলেই দুচাকা দেখতে পাওয়া যায়। প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ বাইক বিক্রি হচ্ছ ভারতে। সুতরাং সেগুলো রিপেয়ারিং থেকে শুরু করে সার্ভিসিংয়ের চাহিদাও থাকবে। যাদের বাইক আছে তারাই জানেন সকাল সকাল দোকানে হাজির না হলে বাইকের সার্ভিস করানোর জন্য দিনের পর দিন ঘুরতে হয়। তাই যদি সঠিক লোকেশনে একটা বাইকের সার্ভিস সেন্টার খোলা যায় তাহলে মোটা টাকা আয় করা সম্ভব। কিভাবে শুরু করবেন? কত টাকা বিনিয়োগ করতে হতে পারে আর কত লাভ হবে? সমস্ত হিসাব রইল আজকের প্রতিবেদনেই।
প্রিমিয়াম খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
কিভাবে শুরু করবেন বাইকের সার্ভিস সেন্টারের ব্যবসা?
আপনি যদি বাইকের সার্ভিস সেন্টার শুরু করতে চান তাহলে সবার আগে আপনাকে রাস্তার ধারে বা মোটামুটি মেন রোডের কাছেই একটা বড় দোকান নিতে হবে। এক্ষেত্রে দোকানের সামনে যেমন বেশ কিছুটা খালি জায়গা থাকতে হবে তেমনি ভেতরে বা পিছনেও বেশ কিছুটা জায়গার প্রয়োজন হবে। এরপর বাইক সার্ভিসিংয়ের জন্য বেশ কিছু সরঞ্জাম কিনতে হবে। একইসাথে অন্তত দু জন অভিজ্ঞ ও ৩ থেকে ৪ জন অপেক্ষাকৃত কম অভিজ্ঞ মেকানিক কাজে রাখতে হবে। এই সব ব্যবস্থা হয়ে গেলে দোকান সাজানোর ব্যবস্থা করে কিছুটা বিজ্ঞাপন করতে পারলেই কাজ শুরু।
কত টাকা বিনিয়োগ করতে হতে পারে?
দোকান যেহেতু বেশ বড় প্রয়োজন তাই ভালো লোকেশনে দোকানের ভাড়া হিসাবেই ১৫,০০০ থেকে ২০,০০০ টাকা ধরে রাখতে হবে। এরপর কাজের জন্য যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হবে যেটা একটু বেশি খরচ করতে হবে। তবে এটা একবার ইনভেস্ট করতে হবে। এক্ষেত্রে ৬০,০০০ টাকা থেকে ৭০,০০০ টাকার খরচ পড়বে। এরপর অভিজ্ঞ ও বাকি মেকানিকদের মাইনে হিসাবে মাসে ৬০,০০০ টাকা খরচ হবে। এছাড়াও আনুসাঙ্গিক খরচ মিলিয়ে মোটের উপর ২ লক্ষ থেকে ২.৫ লক্ষ টাকা খরচ হবেই।
কত টাকা আয় হতে পারে?
বাইক সার্ভিসিংয়ের ক্ষেত্রে যদি গড়ে কমপক্ষে ৩০০ টাকা লাভ ধরা হয় আর প্রতিদিন ৩০টি বাইক সার্ভিসিং করেন তাহলেই মাসে মাসে ২,৭০,০০০ টাকা আয় করা সম্ভব। এর মধ্যে থেকে মাইনে পত্র ও আনুসাঙ্গিক খরচ বাদ দিলে সহজেই ১.৫ লক্ষ টাকা বা তারও বেশি লাভ করা সম্ভব। এছাড়া পরবর্তীকালে যত ব্যবসা বাড়বে ততই লাভের পরিমাণও বাড়বে।