প্রীতি পোদ্দার, পাটনা: গত নভেম্বর মাসে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার জানিয়েছিলেন, রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা (Dearness Allowance) বাড়ানো হচ্ছে প্রায় ৩ শতাংশ হারে। এবং এই বর্ধিত DA, ২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে কার্যকর হবে। আর তার ফলে সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের প্রাপ্ত মহার্ঘ ভাতার পরিমাণ সমকেন্দ্রিয় হারে গিয়ে দাঁড়ায় ৫৩ শতাংশে। কিন্তু DA বাড়লেও মহা সমস্যায় পড়েছে রাজ্য সরকারী কর্মীরা। বাদ যাননি নেতা মন্ত্রীরাও।
আমাদের সাথে যুক্ত হন
Join Now
DA বাড়লেও মহা সমস্যায় সরকারি কর্মীরা!
আসলে বিহারে দেখা গিয়েছে যে বিধায়ক, মন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারি আমলারা কেউই বেতন পাচ্ছেন না। সরকারি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন সফটওয়্যার সিস্টেমের কারণেই যাবতীয় সমস্যা তৈরি হয়েছে সরকারী কর্মীদের টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে। গত ৩ জানুয়ারি কমপ্রিহেনসিভ ফিন্যানশিয়াল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ২.০ বা CFMS 2.0 নামক নতুন একটি সফটওয়্যার আনা হয়েছিল। কিন্তু সেই সিস্টেমেই প্রযুক্তিগত নানা ত্রুটি ধরা পড়ছে।
সরকারি সফটওয়্যারেই গণ্ডগোল
সার্ভার ডাউন থাকার পাশাপাশি পেমেন্ট সিস্টেমেও দেখা গিয়েছে অজস্র ত্রুটি। যার ফলে আটকে গিয়েছে প্রায় ৮ লাখ কর্মীর বেতন। ৩ লাখ আঞ্চলিক কর্মী, ৫ লাখ শিক্ষক এবং ৫০ হাজার চুক্তিভিত্তিক কর্মী ডিসেম্বর ও জানুয়ারির বেতন এখনও পায়নি। ২০১৯ সালে কমপ্রিহেনসিভ ফিন্যানশিয়াল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু করেছিল বিহার সরকার। আর এরই নতুন সংস্করণ এই বছরে চালু করা হয়েছে। কিন্তু নয়া সংস্করণেই ঝামেলায় পড়ল সকলে। তবে শুধু তো সরকারি কর্মীরা নন, খোদ মুখ্যমন্ত্রীর বেতনও দুই মাস ধরে আটকে রয়েছে। এমনকি সরকারি যাবতীয় বিল পেমেন্টও বাকি এই সিস্টেম গড়বড়ের কারণে।
তবে গত ২৭ ডিসেম্বর উপমুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের অর্থমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী জানিয়েছিলেন, কয়েকদিনের মধ্যেই সমস্যর সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু দুই মাস পার হয়ে গেলেও এখনও সেই সমস্যার সমাধান হয়নি। এদিকে রাজ্য অর্থ দফতরের তথ্য অনুযায়ী, বেতন দেওয়ার জন্য প্রতি মাসে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয় সরকারের। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কারোর অ্যাকাউন্টে বেতনের এক টাকাও ঢোকেনি। কবে তাঁরা বেতন পাবেন, তা কিছুই জানেন না লাখ লাখ কর্মীরা।