বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: রবিবাসরীয় ম্যাচেই ডার্বির আশা ভঙ্গ! ইন্ডিয়ান সুপার লিগ ও AFC চ্যালেঞ্জ লিগে লাগাতার ব্যর্থতার পর সুপার কাপ নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল ইস্টবেঙ্গল(East Bengal)। তবে রবির ম্যাচেই যাত্রাভঙ্গ হয়েছে তাদের। কলিঙ্গ সুপার কাপের আসর বসার আগে কোচ অস্কার ব্রুজো জানিয়েছিলেন, তিন সপ্তাহ ধরে তাঁর দল একেবারে নাক কান বুঝে পরিশ্রম করছে।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
তবে কেরালার বিরুদ্ধে সেই অক্লান্ত পরিশ্রমের কোনও ছাপ পাননি দর্শকরা। ভিন রাজ্যের ছেলেদের কাছে একেবারে 2-0 তে মুখ পুড়িয়ে সুপার কাপের যাত্রা এ মরসুমের মতো শেষ হল মশালবাহিনীর। সেই সাথেই, শেষ হয়ে গিয়েছে 26 এপ্রিল, শনিবারের সম্ভাব্য ডার্বির পাঁচমিশালী স্বপ্নও। আপাতত ইমামি ইস্টবেঙ্গলের কাছে অপেক্ষা ছাড়া আর দ্বিতীয় কোনও বিকল্প পথ খোলা নেই।
নজরে এসেছে আনোয়ার, বিষ্ণুদের পরিশ্রম
রবিবার সুপার কাপের প্রথম যাত্রায় ইস্টবেঙ্গলকে একেবারে গুঁড়িয়ে দেওয়ার ভাবনা নিয়েই মাঠে নেমেছিল কেরালা ব্লাস্টার্স। সেই মতো ম্যাচের একেবারে প্রথম থেকেই লাল হলুদের সুযোগের রাস্তাটা বন্ধ করে রেখেছিল ভিন রাজ্যের ছেলেরা। কেরালার গোছানো ফুটবল ও দুর্ধর্ষ আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতেই ফেঁসে যায় ইস্টবেঙ্গল।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
ফুটবল বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করছেন, দুই গোলে নয়, গতকাল ইস্টবেঙ্গলকে আরও বেশি গোলে হারাতে পারতো কেরালা। তবে সেই পথে দূর্গ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন লাল হলুদের আনোয়ার আলি ও পিভি বিষ্ণুরা। ইস্টবেঙ্গলের এই দুই তারকার অক্লান্ত পরিশ্রমের জের, কিছুটা হলেও সম্মান বেঁচেছে অস্কার ব্রুজোদের। যদিও একেবারে দুই-শূন্যতে হার ইস্টবেঙ্গলের মতো দলের কাছে সত্যিই যন্ত্রণার, অসম্মানের।
অবশ্যই পড়ুন: ৪৭০০ পাকিস্তানি ভিখারিকে ফেরত পাঠাল সৌদি আরব, আরও ২ কোটি আছে বলে দাবি
হতাশ ভক্তরা
ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচ মানেই আলাদা উন্মাদনা। তবে সাম্প্রতিক সময়ে কোথায় সেই চেনা ইস্টবেঙ্গল? যে দল একটা সময়ে মাঝ মাঠে রাজত্ব করতো, প্রতিপক্ষকে বলে বলে গোল খাইয়ে নিজেদের জয়ের খুঁটি অক্ষত রেখেছিল, সেই পরিচিত লাল হলুদ আজকের দিনে যেন সত্যিই অচেনা। গতবার কোচ কার্লস কুয়াদ্রাতের আমলে কলিঙ্গ সুপার কাপ জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল।
এবার সেই আসরের একেবারে উদ্বোধনী ম্যাচেই গো হারা হারালো ইলিশ প্রেমীদের ঐতিহ্য। যার জেরে সমর্থকদের বুকের বাঁদিকের চিনচিনে ব্যথাটা আরও খানিকটা বেড়েছে। হতাশ হয়েছে লাল হলুদ জনতা। একই সাথে নষ্ট হয়েছে শনিবারের ডার্বির সম্ভাবনাও। ফলত, সবদিক থেকেই ভারতীয় ফুটবলে একেবারে ঘোর বিপদে কলকাতা ময়দানের এই প্রধান।