বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: সৌম্যা গুগুলথের ভরসাযোগ্য গোলে অধরা স্বপ্ন পূরণ হল ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal)। এতদিন পুরুষ দলের ওপর ভরসা করে লাভ হয়নি, তাই স্বপ্ন পূরণের লড়াইটা বল পায়ে লড়তে নেমেছিল লাল হলুদের নারী বাহিনী। আর তাতে লক্ষ্যপূরণে বেশি সময় লাগেনি।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
শুক্রবার কল্যাণী স্টেডিয়ামে ভিন রাজ্যের দল ওড়িশা এফসিকে কার্যত নাস্তানাবুদ করে 1-0 ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে মশাল বাহিনী। যার জেরে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই আই লিগ ট্রফি কাঁধে তুলেছে কলকাতা ময়দানের এই প্রধান। বলে রাখি, মূলত সৌম্যার 67 মিনিটের গোলেই অধরা লক্ষ্যে তীর নিক্ষেপ করল লাল হলুদ।
21 বছরের খরা কাটিয়ে উঠল ইস্টবেঙ্গল
2003-2004 মরসুমে শেষ বারের মতো আই লিগ নিশ্চিত করেছিল ইস্টবেঙ্গলের পুরুষ দল। তবে এরপর আর ভারতীয় ফুটবলের কোনও শিরোপাই কাঁধে ওঠেনি, লাল হলুদের। সাম্প্রতিককালে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের যাত্রায় একেবারে ডাহা ফেল করেছে ইস্টবেঙ্গলের ছেলেরা। যে যন্ত্রণা আজও কুরে কুরে খায় কোচ অস্কারকে।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
ISL-এ যাত্রা ভঙ্গের পর আশা ছিল AFC চ্যালেঞ্জ লিগে। তবে সেখানেও তুর্কমেনিস্তানের দল আর্কাদাগের কাছে মুখ পুড়েছে ইলিশ প্রেমীদের। এহেন আবহে ছেলেদের অপ্রাপ্তি ঘোঁচালো মেয়েরা। তৃতীয় বারের জন্য আই লিগ খেলতে নেমে ট্রফি জেতার পাশাপাশি AFC মহিলা চ্যাম্পিয়নস লিগেও জায়গা করে ফেলেছে মশাল বাহিনীর নারী দল। উল্লেখ্য, দীর্ঘ 21 বছরের খরা কাটিয়ে শেষমেশ মহিলাদের হাত ধরেই ঘরোয়া লিগ জিতল ইস্টবেঙ্গল।
আই লিগ জেতার লক্ষ্যে একেবারে আটঘাট বেঁধে নামে ইস্টবেঙ্গল
নারী বাহিনীর হাত ধরে সুনিশ্চিত হয়েছে আই লিগের শিরোপা। তবে এই সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছে লাল হলুদের একাধিক পরিকল্পনা। জানা গিয়েছে, আই লিগে নিশ্চিত করতে একেবারে সেরা ফুটবলারদের সই করিয়েছিলেন লাল হলুদের কর্তার। সেই সাথে পথপ্রদর্শক হিসেবে দলে নেওয়া হয়েছিল অন্যতম সেরা কোচকেই।
অবশ্যই পড়ুন: চেন্নাই বধের পরই বিরাট উপহার পেল KKR! যাত্রা শেষ হচ্ছে ধোনিদের?
হ্যাঁ, গোকুলম মহিলা দলকে জোড়া আই লিগ জেতানো অ্যান্টনি অ্যান্ড্রুজকে কোচ করে লাল হলুদ। পাশাপাশি দলের হাল ধরে রাখতে সই করানো হয় আশালতা দেবী, সন্ধ্যা রঙ্গনাথন, অঞ্জু তামাংদের মতো বিধ্বংসী ফুটবলারদের। স্বদেশীদের পাশাপাশি আই লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা বিদেশি ফুটবলার লশাদ্দাই আচেমপংকে সই করিয়ে একেবারে লাভের গুড় খেয়েছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল।