Financial Year: কমেছে আয়, এবার ১৫ লক্ষ কোটি ঋণ করছে কেন্দ্র! সরকারের সিদ্ধান্তে চাপে পড়বে দেশবাসী? | Central Govt Will Borrow Rs 8 Lakh Crore
প্রীতি পোদ্দার, নয়া দিল্লি: সময় যত এগোচ্ছে অর্থনৈতিক দিক থেকে পাকিস্তান যেন আরও দুর্বল হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে ঠেকেছে যে, দু’বেলা দু’মুঠো করে খাবার জোটাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে সে দেশের বহু নাগরিককেই। পাক নাগরিকদের মধ্যে যাঁরা মোটামুটি সংসার চালিয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে ৫৬ শতাংশ কোনও রকম সঞ্চয় করতে পারছেন না। চাকরি নেই। ফলে তাঁদের ভবিষ্যৎও এইমুহুর্তে অনিশ্চয়তার পথে। পাশাপাশি, বেড়েই চলেছে দেনার পরিমাণ। সরকারের উপর আর ভরসা করতে পারছে না নাগরিকরা। আর এবার সেই একই হাল হতে চলেছে ভারতবাসীর।
গত ২৭ মার্চ কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক ঘোষণা করেছেন যে নয়া আর্থিক বছরের (Financial Year) প্রথমার্ধে আট লক্ষ কোটি টাকা ঋণ নেবে কেন্দ্র। সব মিলিয়ে চলতি অর্থবর্ষে কেন্দ্র মোট ১৪.৮২ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ নেবে। আর এই মোটা টাকার ঋণ নেওয়া হবে সোভারেন গ্রিন বন্ডের মাধ্যমে। পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তি বা পরিবেশ বান্ধব প্রকল্পের নামে এর থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করবে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। বন্ডগুলির মেয়াদপূর্তির সময়সীমা হিসেবে কেন্দ্র ৩ থেকে ৫০ বছর রাখবে বলে জানা গিয়েছে। বিভিন্ন বছরের ক্ষেত্রে সুদের হার ভিন্ন থাকবে। তিন বছরের ক্ষেত্রে ৫.৩ শতাংশ, পাঁচ বছরের ১১.৩ শতাংশ, সাত বছরে ৮.২ শতাংশ, ১০ বছরে ২৬.২ শতাংশ, ১৫ বছরে ১৪ শতাংশ, ৩০ বছরে ১০.৫ শতাংশ, ৪০ বছরে ১৪ শতাংশ এবং ৫০ বছরে ১০.৫ শতাংশ হারে সুদ দেবে সরকার।
গোটা বিষয়টি নিয়ে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্র আরও জানিয়েছে যে চলতি অর্থবর্ষে প্রথম প্রান্তিকে সাপ্তাহিক ভাবে ১৯ হাজার কোটি টাকার ট্রেজারি বিল জারি করবে মোদী সরকার। যার মধ্যে তিনটি ভাগ থাকবে। একটির মেয়াদ ৯১ দিনের বাজার থেকে ৯ হাজার কোটি টাকা তুলবে সরকার। বাকি দু’টি হল, ১৮২ দিনের ৫ হাজার কোটি টাকার ট্রেজারি বিল এবং ৩৬৪ দিনের ৫ হাজার কোটি টাকার ট্রেজারি বিল। এছাড়াও দেশের আর্থিক হাল ধরতে এগিয়ে এসেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। ২০২৫-’২৬ আর্থিক বছরের প্রথমার্ধের জন্য ওয়েস অ্যান্ড মিনস অ্যাডভান্সেসের সীমা দেড় লক্ষ কোটি টাকা নির্ধারণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। আর এই সম্পূর্ণ বিষয়টি জানাজানি হতেই নরেন্দ্র মোদী সরকারের আর্থিক নীতির সমালোচনায় করেছেন দেশের তাবড় বিশ্লেষকেরা। তুলনা করে হয়েছে পাকিস্তানের আর্থিক পরিস্থিতির সঙ্গে।
গত ফেব্রুয়ারিতে সংসদে বাজেট পেশ করার সময়ে রাজস্ব ঘাটতি পূরণের কথা বলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তিনি জানিয়েছিলেন আসন্ন আর্থিক বছরে রাজস্ব ঘাটতির সম্ভাব্য পরিমাণ মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ৪.৪ শতাংশ থাকবে। বর্তমান অর্থবর্ষে এটি ৪.৮ শতাংশে গিয়ে থামার সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থাৎ আসন্ন অর্থবর্ষে রাজস্ব ঘাটতি কমবে বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। এদিকে ঘাটতি মেটাতে পুরনো সিকিউরিটিজের মাধ্যমে বাজার থেকে ১১.৫৪ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ সংগ্রহ করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী কেন্দ্র। অন্যদিকে চলতি নয়া আর্থিক বছরে কর বাবদ সরকারি কোষাগারে ২৮.৩৭ লক্ষ কোটি টাকা আসবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, আগামী এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাজার থেকে ঋণ বাবদ আট লক্ষ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই এই সময়সীমার ঋণ-ক্যালেন্ডার প্রকাশ করেছে মোদী সরকার। ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদীর দাবি রাজস্ব ঘাটতি মেটাতে ঘরোয়া বাজার থেকে জিডিপির মাত্র ৪.৪ শতাংশ ঋণ বাবদ সংগ্রহ করবে অর্থ মন্ত্রক। কিন্তু সমালোচকরা জানাচ্ছেন ফেব্রুয়ারিতে পেশ করা বাজেটে খরচ বাবদ যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে, তার ৩০ শতাংশই ধার করতে চলেছে কেন্দ্র। তবে এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে কেন্দ্র।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
ভারতীয় বাজারে নতুন Honda SP 125 বাইকটি লঞ্চ হওয়ার পর থেকেই গ্রাহকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া…
প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: সালটা ছিল ২০২০। সেই সময় করোনা মহামারি এতটাই ভয়ংকর আকার ধারন করেছিল…
সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্র এখন চরম সংকটের মধ্য দিয়ে এগোচ্ছে। হাজার হাজার শিক্ষক বর্তমানে…
সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: আবারও পকেটে বড় ধাক্কা? পেট্রোল ডিজেলের দাম (Petrol and Diesel Price) বাড়তে…
প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গত বৃহস্পতিবার, সুপ্রিম কোর্টের কলমের খোঁচায় প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক শিক্ষাকর্মীর চাকরি…
সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য আসতে চলেছে এবার নতুন বেতন কাঠামো। তবে এবার শুধু…
This website uses cookies.