Gayen Garden: কলকাতার অদূরেই রয়েছে এক টুকরো মিনি ইউরোপ, একবার ঘুরতে গেলে হয়ে যাবেন মুগ্ধ | Dhanyakuria Tourist Spot Near Kolkata

শ্বেতা মিত্র, কলকাতা: বর্তমানে বাংলায় শীতের মরসুম চলছে। আর এই শীতের মরসুমে ভ্রমণপ্ৰিয় বাঙালির মন কিংবা পা কোনোটাই ঘরে টিকতে চায় না। কয়েক ঘন্টা কিংবা এক দু’দিনের জন্য কাছেপিঠে কোথাও না কোথাও ঘুরতে চলে যান অনেকে। এদিকে সময় পেলেই ভ্রমণপিপাসুরা দীপুদা যেতে কিনতে ভোলেন না। আপনিও কি এই শীতে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করছেন? অফবিট জায়গা খুঁজছেন? তাহলে আজকের এই প্রতিবেদনটি রইল শুধুমাত্র আপনার জন্য। আপনি কি জানেন যে কলকাতার একদম কাছেই রয়েছে এক টুকরো ইউরোপ? শুনে চমকে গেলেন তো? কিন্তু এটাই সত্যি। এখানে গেলে আপনি ইউরোপের ছোঁয়া দেখতে পাবেন। কোন জায়গা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে তা জেনে নিন ঝটপট।

READ MORE:  তালিকা থেকে মুছেই দিল সুপ্রিম কোর্ট, OBC মামলা নিয়ে আরও জট

কলকাতার কাছেই যেন এক টুকরো মিনি ইউরোপ

৩০ একর জমির ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে এক বিরাট অট্টালিকা যা একদম ইউরোপিয়ান ভাইব দেয়। আজ কথা হচ্ছে ধান্যকুড়িয়া গাইন বাড়ি নিয়ে। এই জায়গাটি বছরের পর বছর ধরে পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণের জায়গা হয়ে উঠেছে। এ এক রহস্যময় রাজবাড়ী যেন। এখানে একটি সুন্দর বাগানও রয়েছে যেখানে আপনি অনায়াসেই ঘুরে বেড়াতে পারবেন।

READ MORE:  অবসরের পরেও ৫ বছর ধরে পদে আসীন! মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রারকে সরাল হাইকোর্ট

বসিরহাট-বেড়াচাঁপার টাকি রাস্তার ধারে গড়ে উঠেছে ধান্যকুড়িয়ার গাইন গার্ডেন। বলা হয়, নাকি আজ থেকে প্রায় দেড়শো বছর আগে ধান্যকুড়িয়ার পাট ব্যবসায়ী মহেন্দ্রনাথ গাইন দুর্গের আদলে ৩৩ বিঘা জমি জুড়ে ভবনটি নির্মাণ করেন। এমনিতে ধান্যকুড়িয়া গ্রাম তার অনন্য স্থাপত্যের জন্য বিখ্যাত।

ধান্যকুড়িয়া গাইন বাগান

উনিশ শতকের শেষের দিকে, গ্রামের ধনী জমিদাররা ইউরোপীয় নকশায় অনুপ্রাণিত হয়ে ঔপনিবেশিক এবং ভারতীয় স্থাপত্য শৈলীর মিশ্রণে অট্টালিকা নির্মাণ করেছিলেন। প্রায় ১৫০ বছর আগে টাকি রোডের পাশে ৩৩ একর জমিতে জমিদার মহেন্দ্রনাথ গাইন দ্বারা নির্মিত এই বিশেষ সম্পত্তিটি একসময় মহিলাদের জন্য একটি শিক্ষাকেন্দ্র ছিল, যা পরে বাণীপুরে স্থানান্তরিত হয়।

READ MORE:  Gold Silver Rate Today: বিয়ের মরসুমে সোনার দাম বাড়ল না কমল? জানুন এক ক্লিকেই | Gold And Silver Rate Today Kolkata

প্রাক-স্বাধীন ভারতে, এটি ব্রিটিশ ব্যবসায়ীদের বিনোদনের জন্যও একটি জনপ্রিয় গন্তব্য ছিল। বছরের পর বছর ধরে পরিত্যক্ত এই বাড়িটিকে ২০২২ সালে বাংলার সরকার হেরিটেজ সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করে, ধান্যকুড়িয়ায় একটি পর্যটন প্রকল্পের পরিকল্পনা করে। যাইহোক, এই শীতের মরসুমে আপনিও একবার ঘুরতে আসতে পারেন এই ধান্যকুড়িয়া বাগানবাড়ি থেকে।

Scroll to Top