শ্বেতা মিত্র, কলকাতা: পোয়া বারো হতে চলেছে সরকারি কর্মীদের। এক ধাক্কায় সরকারি কর্মীরা পেতে চলেছেন লম্বা সময় ধরে আটকে থাকা মোটা টাকা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে নতুন বছরে সকল সরকারি কর্মীদের পকেট অনেকটাই ভরতে চলেছে বৈকি। হ্যাঁ একদম ঠিক শুনেছেন। রাজ্য মন্ত্রিসভা লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মীদের ও পেনশনভোগীদের বড় উপহার দিয়েছে। আরও বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই লেখাটির ওপর।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
বড় সিদ্ধান্ত সরকারের
না তবে বাংলায় নয়, আসলে এই সুখবর রয়েছে পাঞ্জাবের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মীর। আসলে পাঞ্জাব মন্ত্রিসভা রাজ্যের ছয় লক্ষ কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের একটি বড় উপহার দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান ষষ্ঠ বেতন কমিশনের বকেয়া এবং পেনশনের বকেয়া পরিশোধের প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন। শুধু তাই নয়, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বেসরকারি নির্মাতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তাবও অনুমোদন করেছেন। এর সরাসরি সুবিধা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল পরিবার এবং মানুষ পাবে।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত
মন্ত্রিসভার বৈঠকে কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের বকেয়া পরিশোধের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অবহিত করে অর্থমন্ত্রী হরপাল সিং চিমা বলেন যে সরকার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের এপ্রিল মাস থেকে এই বকেয়া পরিশোধ শুরু করবে। এই বকেয়া পরিমাণ ২০২৮ সালের মধ্যে সম্পন্ন হবে। এর ফলে ২০২৫ সালের এপ্রিল থেকে পাঞ্জাব সরকারের উপর প্রতি মাসে ২০০ কোটি টাকার অতিরিক্ত বোঝা চাপবে। ১৪ হাজার কোটি টাকা থেকে বকেয়া পরিশোধ করা হবে।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
জানা গিয়েছে, ১ জানুয়ারি, ২০১৬ থেকে ৩০ জুন, ২০২২ পর্যন্ত সংশোধিত বেতন, পেনশন এবং ১ জুলাই, ২০২১ থেকে ৩১ মার্চ, ২০২৪ পর্যন্ত DA এবং DR দেওয়া হবে। অর্থমন্ত্রী চিমা বলেন, সরকার কেবল বেসরকারি নির্মাতাদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করবে না, যারা তাদের প্রকল্পে EWS কোটার অধীনে জমিতে অবৈধ নির্মাণ করেছে, বরং তাদের উপর জরিমানাও আরোপ করবে।
লাভবান হবেন সাধারণ মানুষও
মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য জুড়ে ৭০০ একর জমি চিহ্নিত করেছেন, যা বেসরকারি নির্মাতা বা সরকারের কাছে EWS কোটার অধীনে পড়ে ছিল। এখন সরকার এই ৭০০ একর জমি খোলা বাজারে বিক্রি করবে এবং অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণীর (EWS) নাগরিকদের ১৫০০ একর জমিতে প্লট প্রদান করবে। এর সাথে সাথে, পাঞ্জাব সরকার বিভিন্ন বিভাগে তিন হাজার পদে নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে। একই সাথে, মন্ত্রিসভা ২৪ এবং ২৫ ফেব্রুয়ারি পাঞ্জাব বিধানসভার একটি বিশেষ অধিবেশন ডেকেছে।
এই বিশেষ অধিবেশনে সরকার তার অমীমাংসিত সাংবিধানিক কাজ সম্পন্ন করবে। চার মাস পর, বৃহস্পতিবার পাঞ্জাব সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্ব করার সময়, মুখ্যমন্ত্রী ১৭টি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন।